বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : সুপরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নতির শিখরে পৌঁছানো সম্ভব : রাষ্ট্রপতি

213

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
হামিদ-পর্যটন দিবস
সুপরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নতির শিখরে পৌঁছানো সম্ভব : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সুপরিকল্পনা, দক্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্প উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৯’ উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য “ভবিষ্যতের উন্নয়নে কাজের সুযোগ পর্যটনে”। পর্যটন একটি শ্রমঘন শিল্প যা এবারের পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্যে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পর্যটন মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণের মাধ্যমে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, সভ্যতা, ঐতিহ্য ও জীবনবোধ সমৃদ্ধ হয়। বাংলাদেশ পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনার একটি দেশ। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের পাশাপাশি রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি। রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, পুরাকীর্তিসহ অসংখ্য পর্যটন আকর্ষণ।
তিনি বলেন,‘বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠার সকল উপাদান আমাদের রয়েছে। দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। চলমান পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা ও সুন্দরবনের সাথে যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি তা এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে বলে আমি মনে করি।’
আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধিষ্ণু সেবা খাতসমূহের মধ্যে পর্যটন অন্যতম। কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটনের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। পর্যটন শিল্পের কাঙ্খিত উন্নয়নের মাধ্যমে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
বাসস/তবি/এমআর/১৮৫৫/-আসচৌ