সরকারের বহুমুখী উদ্যোগের ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে : শ ম রেজাউল করিম

614

পিরোজপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকারের বহুমুখী উদ্যোগের ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন খাতে অকল্পনীয় উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বিজ্ঞান মনষ্ক অসাম্প্রদায়িক কুসংস্কারমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী ভাল ও সুস্থ্য থাকলে দেশবাসী ভাল থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আজ তার নিজ নির্বাচনী এলাকা পিরোজপুর-১ আসনের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলার পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত দুস্থ মহিলা শ্রমিকদের সঞ্চয়কৃত অর্থের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে অকল্পনীয় উন্নয়ন হচ্ছে। প্রধান মন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এলাকায় যাও, মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাড়াও। নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মানে সাড়ে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ এলাকায় আগামী ৪ বছরে যে সকল উন্নয়ন হবে তা স্বপ্নেরও অতীত।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজি আক্তার।
অন্যান্যের মধ্যে শেখ মাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান, নাজিরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, কৃষকলীগ নেতা আতিয়ার রহমান চৌধুরী, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে নাজিরপুর উপজেলা হতে গজালিয়া জিসি পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সড়ক পাশের্^র ঝোপ-ঝাড় ও ছোট ছোট আগাছা পরিস্কারকরণ কাজে নিয়োজিত মহিলা শ্রমিকদের সঞ্চয়কৃত অর্থের জন প্রতি ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা করে ১১ জনকে এবং দিঘিরজান জিসি হইতে মাটিভাঙ্গা জিসি পর্যন্ত সড়কের একই কাজের জন্য ৮ জন মহিলা শ্রমিকের প্রত্যেককে একই পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
সর্বমোট ২২ লাখ ১৩ হাজার ৫ শ’ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, এলাকাভিত্তিক গ্রামীণ দুস্থ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল ও সাবলম্বী করে গড়ে তোলা এবং পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি আয়বর্ধক কাজে নারীদেরকে সম্পৃক্তকরণের এ কর্মসূচিতে পল্লী অঞ্চলের নারীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।