বাসস দেশ-৩২ : এনামুল হক এবং তার কর্মচারী ও বন্ধুর বাসা থেকে ৫ কোটি স্বর্ণ ও অস্ত্র উদ্ধার

240

বাসস দেশ-৩২
র‌্যাব-উদ্ধার
এনামুল হক এবং তার কর্মচারী ও বন্ধুর বাসা থেকে ৫ কোটি স্বর্ণ ও অস্ত্র উদ্ধার
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীর সুত্রাপুর, গেন্ডারিয়া ও নান্দিরা এলাকায় সাবেক ছাত্রদল নেতা বর্তমানে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভুঁইয়ার বাসা এবং তাদের কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাসায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নগদ অর্থ, স্বর্ণ ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাবের একটি দল।
র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল আজ বাসসকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা ও প্রায় ৮ কেজি (৭৩০ ভরি) স্বর্ণ, ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৩ এর একটি দল।
সোমবার মধ্যরাত থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত টানা তিনটি বাসায় অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমান টাকা, সোনা ও অস্ত্র উদ্বার করা হয়।
অভিযান শেষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল জানান, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, টাকা ও সোনা রাখতে ঢাকার ইংলিশ রোড থেকে পাঁচটি ভল্ট ভাড়া করা হয়েছে। প্রথমে পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের ৩১ নম্বর এনামুল হক ও রুপন ভুঁইয়া বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।
তিনি বলেন, এ বাসার তিনটি ভল্ট থেকে নগদ প্রায় এককোটি পাঁচ লাখ টাকা, আট কেজি স্বর্ণ (৭৩০ ভরি) সোনার অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভল্টগুলো খোলা হয়। ওই বাসা থেকে পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরমধ্যে ২টি পিস্তল, ১টি শটগান ও ২টি এয়ারগান রয়েছে।
অভিযানের এক সপ্তাহ আগে এনামুল হক থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। তার ভাই রুপন ভুঁইয়া পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা যায়। তাদের আরও দু’ভাই রয়েছে। তাদেরও ধরতে পারেনি র‌্যাব।
এনামুল হক ক্যাসিনোর অর্থ নিজ বাড়ির ভল্টে রাখতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরে এনামুল হকের কর্মচারী রাজধানীর নারিন্দায় লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ৮৩১ নম্বর আবুল কালাম আজাদের বাসায়ও অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখানে একটি ভল্ট থেকে দুই কোটি টাকা ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব-৩ সুত্রে জানা যায়, এনামুল হকের বন্ধু হারুন অর রশিদের নারিন্দার শরৎগুপ্ত রোডের ২২/১ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনটি অভিযানে মোট পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাব কর্মকর্তাদের ধারনা টাকাগুলো অবৈধ ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এনামুল হক ওরফে এনু ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসার অংশীদার ছিলেন এবং রূপন ভূঁইয়া মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে র‌্যাব জানায়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০৪০/অমি