বিএ সনদ অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী ১৩৩০০ জন

303

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) অধীনে প্রথমবারের মতো ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) এর সনদপত্র অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত ১৩ হাজার তিন’শ জন।
২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার স্বল্প সময়ের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি সফরে যাওয়া শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইপিএস কর্মীদের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় তারা এ সুযোগ পাচ্ছেন।
বর্তমান সরকারের ‘সবার জন্য শিক্ষা’ নীতির আলোকে বিদেশে বসে দেশের সমমানের ডিগ্রী লাভের এই সুযোগ তারা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এখন থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশীরা বিশেষ করে ইপিএস কর্মীরা বাউবি’র অধীনে মোট ৬ সেমিস্টারে (প্রতি সেমিস্টারের মেয়াদ ৬ মাস) ২০টি কোর্স অধ্যায়নের মাধ্যমে তিন বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ)এর সনদপত্র অর্জনের সুযোগ লাভ করবেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস,সিউল এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সহযোগিতায় তিন বছর মেয়াদী এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাচেলর অব আর্টস (বি.এ)-এ ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোর্সটি আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ৭০ জন বাংলাদেশী ইপিএস কর্মী এই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রীর ইপিএসকর্মীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সকালে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী,বাণিজ্যিক কাউন্সেলর এবং প্রথম সচিব (শ্রম) মিস মকিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়,দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত ১৩ হাজার ৩০০ বাংলাদেশী কর্মীর অধিকাংশই বয়সে তরুণ এবং তারা অনেকেই শিক্ষা জীবন অসমাপ্ত রেখে উন্নত জীবনের আশায় দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান।এদেশে অবস্থানকালে তাদের অনেকেই কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক।তাছাড়া, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তা ভিসার শ্রেণী পরিবর্তনের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈধভাবে অবস্থানের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকারী বাংলাদেশ ইপিএস কর্মীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করার লক্ষে এবং বৈধ উপায়ে ভিসার শ্রেণী পরিবর্তন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে অনলাইনে এইচ এস সি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালুর এটিই ছিল প্রথম উদ্যোগ।