বাসস দেশ-১৬
স্থলবন্দর-উন্নয়ন
বেনাপোলে যাত্রী হয়রানি কমাতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহন ও যাত্রীদের হয়রানি কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আজ বেনাপোল স্থলবন্দরের ১০ম উপদেষ্টা কমিটির সভা ও স্থলবন্দরের অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উন্নয়ন করা হবে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের স্থলপথে মোট বাণিজ্যের ৯০ ভাগ বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। বর্তমানে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বাণিজ্য হচ্ছে। সরকার বন্দর থেকে বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে। সম্ভাবনাময় এ বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরকার সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরের বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়ে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে বুথ দ্বিগুণ করার নির্দেশ দেন। বর্তমানে পণ্য পরিবহনে ৮টি বুথ রয়েছে। তিনি শ্রমিকদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সমাধানেরও নির্দেশ দেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সুইচ টিপে বেনাপোল স্থলবন্দরের অটোমেশন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং স্থলবন্দরের উন্নয়ন ও অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীসহ খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
পণ্য হ্যান্ডলিং ব্যবস্থা, ওয়্যারহাউজ ব্যবস্থাপনা ও অটোমেটেড বন্দর মাশুল আদায়ের লক্ষ্যে অটোমেশন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এর আওতায় বন্দরের আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করায় সামগ্রিক কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ অনেকাংশে বেড়েছে ও বন্দরে পণ্য যানজট বহুলাংশে কমেছে। অটোমেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে দু’ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
পরে প্রতিমন্ত্রী বন্দরের ১ নম্বর গেট, টিটিআই মাঠ, চেকপোস্ট কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও নোম্যন্সল্যান্ড পরিদর্শন করেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৭৫৫/কেকে