বাসস দেশ-১৫
কৃষি সচিব-কৃষি উৎপাদন
কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ করতে আবাদি জমিকে চার ফসলি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার : কৃষি সচিব
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে তিন ফসলি জমিকে চার ফসলি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয় ২ দশমিক ৬৬ মেট্রিক টন, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ দশমিক ৩২ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে হবে।
মো. নাসিরুজ্জামান আজ রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিসের কনফারেন্স রুমে ‘সাংবাদিকদের আধুনিক কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিন্তু এ লক্ষ্য পূরণে বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কৃষক উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাচ্ছে না এটা দিবালোকের মতো সত্য।
তিনি আরো বলেন, উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে কৃষি থাকবে না। কৃষক কম দামে পণ্য বিক্রি করেন অথচ বেশি দাম দিয়ে কেনেন। অনেক সময় দেখা যায় কৃষকদের পণ্য ধনীরা কিনে গুদামজাত করে। ফলে কৃষক লাভবান না হয়ে অন্য কেউ লাভবান হয়।
কৃষি সচিব বলেন, যখন ঘরে ধান উঠে তখন ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করেন কৃষক। পরবর্তীতে সে চাল কৃষক ৩০ টাকার পরিবর্তে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কেনেন। বছরে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। তিনি আরো বলেন, জমি সংকটের কারণে দেশে চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল উৎপাদন হচ্ছে না। ভোজ্যতেল করতে হলে গম ও আলু উৎপাদন কমে যাবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মতো কৃষি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের এআইপি (এগ্রিকালচারাল ইম্পরট্যান্ট পারসন) দেয়া হবে। কৃষি কাজ ও উৎপাদনে আগ্রহ বাড়াতে এই প্রণোদনা দেয়া হবে। সিআইপির (কমার্শিয়াল ইম্পরট্যান্ট পারসন) মতো এআইপিরাও ভিআইপি জোনে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, কৃষিতে সুবিধা দিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এটি পাস হলে কৃষক বিনা সুদে ঋণ পাবেন। তারা কেবল ঋণের আসল ব্যাংককে পরিশোধ করবেন। সুদ দেবে সরকার। আমরা চাই লাভজনক ও নিরাপদ কৃষি। এনিয়ে কাজ চলছে। ঢাকার মার্কেট টার্গেট করে রাজধানীর আশপাশে নিরাপদ ফসলের মার্কেট গড়ে তোলা হবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবুল কালাম আযাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক চন্ডী দাস কুন্ডু। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩০ সাংবাদিক অংশ নেন।
বাসস/সবি/এমএএস/১৭৫০/জেহক