চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে ‘সার্ভিস জেটি’

181

চট্টগ্রাম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রায় সাড়ে ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি সার্ভিস জেটি। ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ মিটার প্রস্থের সার্ভিস জেটিটি নির্মিত হলে সাড়ে ৫ মিটার ড্রাফটে ২২০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারবে। ছোট জাহাজ হলে বেশ কয়েকটি একসঙ্গে ভিড়তে পারবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নগরীর বারিক বিল্ডিং এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে জেটিটি নির্মাণ করছে। সেখানে বন্দরের নিজস্ব জাহাজ গুলো নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে পণ্য খালাসেও জেটিটি ব্যবহার করা যাবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতনু-ওহাব-এ বারিক (জেভি) জেটিটির নির্মাণ কাজ করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান সরকার বাসস’কে বলেন, বন্দরের ১ নম্বর জেটির উজানে সার্ভিস জেটি নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের অধীনে ভূমি উন্নয়ন, শোর প্রোটেকশন, প্রশাসনিক ভবন, পানির ট্যাংক, ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। চীন থেকে আনা হয়েছে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের ৩২ মিটার লম্বা ১৩৬টি পাইল। প্রতিটি পাইলের ওজন প্রায় ২৮ টন।
তিনি বলেন, সার্ভিস জেটি প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জেটি ছাড়া ৬ হাজার ৬৭২ বর্গমিটার জুড়ে প্রকল্পের কাজ চলছে। ১৫০ টন ক্ষমতার ১টি ও ৭০ টন ক্ষমতার ১টি ক্রেন আনা হয়েছে পাইলিংয়ের জন্য। প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন এই প্রকল্পে। কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করার প্রচেষ্টা আছে বলে জানান তিনি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার অভিষেক দাশ জানান, এখানে জেটি ছাড়াও ২ হাজার ৬৫০ বর্গফুটের তিন তলা একটি অফিস ভবন, ৩ হাজার বর্গফুটের স্টিল কাঠামোর একটি ওয়্যার হাউস, ২ হাজার ১০০ কিউবিক মিটারের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পানির রিজার্ভার, ২২২ মিটার লম্বা ৮ ফুট উঁচু রিটেইনিং ওয়াল, রিভার ব্যাংক ও শোর প্রোটেকশন, ড্রেনেজ সিস্টেম, ৫০০ কেভি’র বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, ১০০ ফুট উঁচু সিগন্যাল টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি এ প্রকল্পের কার্যাদেশ দেয়া হয় আমাদের এবং ২০২২ সালের জুনে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।