বাসস দেশ-৭ : জলমহালের ইজারাপ্রাপ্তিতে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর

132

বাসস দেশ-৭
জলমহাল-ইজারা
জলমহালের ইজারাপ্রাপ্তিতে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বাসস) : জলমহালের ইজারাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অমৎস্যজীবীদের ঠেকাতে হাওর-বাওর এলাকাধীন মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ ‘হাওরের ইজারাপ্রথা ও মৎস্য ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
জলমহালের ইজারাপ্রাপ্তির অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদেরই এবং তাদেরই জলমহালের ইজারা দেয়া উচিত উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবী সংগঠনকেই জলমহাল ইজারা দেয়া সরকারের লক্ষ্য হলেও মৎস্যজীবীদের অনৈক্যের কারণে অর্থলগ্নিকারী অমৎস্যজীবী সংগঠন ইজারা বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়। কিছু ক্ষেত্রে মৎস্যজীবী সমিতির নেয়া লিজকে তাদের কাছে অবৈধভাবে সাবলিজও দেয়া হয়, যা উচিত নয়।
সরকার জনগণের আমিষপ্রাপ্তি বৃদ্ধিতে মৎস্যসম্পদসহ পোলট্রিখাতকেও এগিয়ে নিচ্ছে এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় গুলশা, পাবদা, টেংরাসহ হারিয়ে যাওয়া ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ দেশীমাছের অনেকগুলো প্রজাতির পুনরাবির্ভাব ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। সমুদ্রে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্যজীবীদের ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডেজিনাস নলেজ (বারসিক) এর যৌথ উদ্যোগে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। গোলটেবিলে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বারসিক এর কৃষি-প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস।
বক্তারা বিভিন্ন জলমহাল অমৎস্যজীবীদের কাছে হাওর-বাওড়সহ জলমহাল লিজ দেয়ার বিরোধিতা করে বলেন, অমৎস্যজীবী লিজগ্রহীতারা মাছের উন্নয়ন, স্থায়িত্ব এবং পরিচর্যার বদলে আর্থিক লাভালাভের স্বার্থেই জলমহালের মাছবৃদ্ধি ও আহরণে বিষাক্ত ওষুধপ্রয়োগ করায় সকলপ্রকার মাছই ধ্বংস হচ্ছে। তারা লিজপ্রথা বাতিল কিংবা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অধীনে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে লিজ দেয়ার মাধ্যমে হাওর-বাওরের মৎস্যসম্পদের টেকসই পরিচর্যা ও উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক কাজে শামস আফরোজ, সাবেক এমপি ছবি বিশ্বাস, বিডব্লিউটিসির সাবেক পরিচালক মনোয়ার হোসেন, এডভোকেট সুব্রত দাস ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ বক্তৃতা করেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৫২০/-কেকে