বাসস দেশ-১৩ : ভ্যানামী চিংড়িচাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হবে : নারায়ন চন্দ্র চন্দ

185

বাসস দেশ-১৩
চিংড়ি-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ভ্যানামী চিংড়িচাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হবে : নারায়ন চন্দ্র চন্দ
ঢাকা, ২৬ জুন, ২০১৮ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি বাড়াতে বিজ্ঞান ভিত্তিক চাষ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার আন্তরিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেও বিশ্বখ্যাত ভ্যানামী সাদা চিংড়ি চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করে বাগদাচিংড়ির পাশাপাশি এই চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ করা হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত ‘হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে বিজ্ঞান ভিত্তিক চাষ বৃদ্ধি ও আনুসঙ্গিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সর্পোটার্স এসোসিয়েশন ও বিজেনেস প্রোমোশন কাউন্সিল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সর্পোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিন উল্লাহ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ, বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল হক, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, ভ্যানামী চিংড়ি চাষের ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিগগির এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বাংলাদেশে ভ্যানামী চিংড়ি চাষ লাভজনক হলে করা হবে।
তিনি বলেন, ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে ভ্যানামী চিংড়ি চাষের তথ্য ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে এ সংকান্ত সমীক্ষা চালানো হবে। দশের কোন এলাকায় কোন জাতের চিংড়ি চাষ করা হবে সেটাও নির্ধারন করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভ্যানামী চিংড়ি চাষ বিষয়ে সকল তথ্য-উপাত্ত শিগগিরই এ সংক্রান্ত জাতীয় কমটিতে উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার পাশাপাশি মাংস ও মাছ উৎপাদনেও সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।’
দেশে বিদ্যমান বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যহত রাখার উপর গূরুত্বারোপ করেন। খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন খুলনা অঞ্চলে সরকারি পর্যায়ে হ্যাচারি করা দরকার। এতে চিংড়ির পোনার সমস্যার সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, দেশীয় চিংড়ির জাত রক্ষার পাশাপাশি ভ্যানামী চিংড়ির প্রচলনের ব্যাপারে বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সেমিনারে চিংড়িচাষের ওপর দুটি প্রবন্ধপাঠ করেন মৎস্য অধিদফতরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চিত্তরনঞ্জন বিশ্বাস ও সাবেক উপ-পরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার।
বাসস/এএসজি/এমকে/১৮১০/অমি