বাসস দেশ-২২ : জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ

238

বাসস দেশ-২২
তামাক- বাধা
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : তামাক কোম্পানির বিভ্রান্তিমূলক প্রচেষ্টা এবং হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে তামাক বিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
একই সাথে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ২০১৯ চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে সিগারেট কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) জোর লবি শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞা এ অভিযোগ জানিয়ে বলেছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে অর্থ সচিব, স্বাস্থ্যসেবা সচিব এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুলিপি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করেছে সংগঠনটি।
চিঠিতে খসড়া জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ২০১৯ এ অন্তর্ভুক্ত তামাক কোম্পানিতে সরকারি অংশিদারিত্ব বাতিল, তামাক খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং ইলেক্ট্রনিক সিগারেট নিষিদ্ধকরণ, প্লেইন প্যাকেজিং চালু ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকৃতি/আয়তন বৃদ্ধি করা, সিগারেটের কর ও মূল্য বৃদ্ধি এবং সুনির্দিষ্ট করারোপের মতো তামাক নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষিত পদ্ধতিসমূহ অন্তর্ভুক্ত না করতে মনগড়া ব্যাখ্যা ও ভিত্তিহীন যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে রাজস্ব ভীতি দেখিয়ে নীতিমালা ক্ষতিগ্রস্ত করতেই বিসিএমএ এই কূটকৌশল অবলম্বন করেছে উল্লেখ করে অভিযোগে আরো বলা হয়, এর আগে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা বাধাগ্রস্ত করতে সংঘবদ্ধ মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালিয়েছিল তামাক কোম্পানিগুলো।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , বিসিএমএ বাংলাদেশকে সিগারেটের উপর উচ্চ কর আরোপ করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে অভিহিত করলেও বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে সিগারেট অত্যন্ত সস্তা। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সবচেয়ে কমদামি সিগারেটের মূল্য বাংলাদেশের কমদামি সিগারেটের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
আরো বলা হয়, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৬ সালের তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মিয়ানমার, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার পরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে সস্তা ব্রান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর আরোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।”
চিঠিতে সিগারেটের কর বাড়ানোর সাথে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া সিগারেট প্রচলন ও রাজস্ব হারানোর যে কল্পনপ্রসূত যুক্তি বিসিএমএ তুলে ধরেছে তা কোনভাবেই সত্য নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সকল তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও পদক্ষেপসমূহ তামাক কোম্পানির ব্যবসায়িক ও অন্যান্য স্বার্থ থেকে সুরক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে আরো বলা হয়, “সুতরাং সরকারকে তামাক কোম্পানির বিভ্রান্তিমূলক প্রচেষ্টা এবং হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্তকরণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে, যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের পথ সুগম করবে।”
বাসস/সবি/কেসি/১৯০৫/এইচএন