একুশ আগস্ট মামলায় আসামীপক্ষ কালক্ষেপণে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন : সৈয়দ রেজাউর রহমান

257

ঢাকা, ২৬ জুন, ২০১৮ (বাসস) : রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামীপক্ষ কালক্ষেপণে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান আজ বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আসামীপক্ষ এ মামলায় আইনে প্রদত্ত সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন। তবে আসামীপক্ষ ন্যায়বিচারকে বিলম্বিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তিনি বলেন।
এ মামলায় আসামীপক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৮ আসামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়েছে। আজ ছিল এ মামলার যুক্তিতর্ক পেশ করার ৮৮তম দিন। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে।
আজ সপ্তম দিনের মতো আসামী পুলিশের প্রাক্তন এএসপি আব্দুর রশিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করেন তার আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। এই যুক্তিতর্ক পেশ অসমাপ্ত রয়েছে। কাল ২৭ জুনও মামলার তারিখ ধার্য করা রয়েছে।
এর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেয়। আসামীপক্ষে সাক্ষিদের জেরা করেছে। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান, এডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, বিশেষ পিপি মো. আবু আব্দুলাহ ভূঞা, আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল, এডভোকেট ফারহানা রেজা, এডভোকেট মো. আমিনুর রহমান, এডভোকেট ইমানুর রহমান, আবুল হাসনাত, আশরাফ হোসেন তিতাস প্রমুখ। অপরদিকে আসামিপক্ষে আবদুস সোবহান তরফদার ছাড়াও বিভিন্ন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২২ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পতœী আইভি রহমান। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচন্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।