বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল এলাকা দৃষ্টিনন্দন করার পরিকল্পনা করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

245

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
হাসিনা-টিএসসি
শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল এলাকা দৃষ্টিনন্দন করার পরিকল্পনা করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

গণগ্রন্থাগার সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে খুবই দৃষ্টিনন্দন করে গণগ্রন্থাগারকে নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক পাঠক ও গবেষকের স্থান সংকুলানের জন্য গণগ্রন্থাগার আকারে দ্বিগুণ করা হবে। সেখানে যারা যাবেন তারা গ্রন্থাগার কমপ্লেক্সের নান্দনিক সৌন্দর্য্যও উপভোগ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানকার পুকুরকে কেন্দ্র করে এলাকাটিকে পাঠকদের অবসর সময় কাটানোর জন্য একটি সুন্দর স্থানে পরিণত করা হবে। জাতীয় জাদুঘর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে জাদুঘরের জন্য একটি দর্শনীয় নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যাতে একই সঙ্গে ৪ থেকে ৫ হাজার রোগীকে সেবা দিতে পারে, সেভাবে নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, ডিএমসিএইচ’কে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা ও চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত করে উন্নয়ন করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলকে সাউন্ড-প্রুফ করা হবে। ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের মেট্রোরেল নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ মেট্রোরেল শিক্ষার পরিবেশে বিঘœ ঘটাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল রুট ও এর স্টেশন নির্মাণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের একাংশের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল শ্রেণির মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তিনি নিজেই মেট্রোরেলের রুট নির্ধারণ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও রোগীদের কথা চিন্তা করে শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর রুট নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেন, এটি হবে কম্পিউটারাইজড সর্বশেষ মডেল ইলেকট্রনিক ট্রেন যা প্রতিটি স্টেশনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে থামবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর যাতায়াতের কথা বিবেচনায় রেখে টিএসসি এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের চলাফেরা ও একুশে বইমেলার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা বাংলা একাডেমির সামনে একটি বড় আন্ডারপাস নির্মাণ করবো।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল বা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন স্থানে আন্ডারগ্রাউন্ড রেল (টিউব) ও এলিভেটেড রেল নির্মাণ করে পুরো ঢাকা মহানগরকে মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, নগরবাসীদের চলাফেরা সুগম করতে সরকার ঢাকা মহানগরের চারদিকে এলিভেটেড রিং-রোডও নির্মাণ করবে।
বাসস/এসএইচ/অনু-এইচএন/২১৫৫/বেউ/-এবিএইচ