বাসস দেশ-১২ : শারদীয় দুর্গোৎসব জাতীয় উৎসবের আমেজে পালনে সহযোগিতা কামনা পূজা উদযাপন পরিষদের

262

বাসস দেশ-১২
পূজা-নির্দেশনা
শারদীয় দুর্গোৎসব জাতীয় উৎসবের আমেজে পালনে সহযোগিতা কামনা পূজা উদযাপন পরিষদের
ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : সারাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব জাতীয় উৎসবের আমেজে যাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জাতীয় পরিষদ সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ এবং জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা ও পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে বর্ধিত সভা থেকে এ আহবান এবং প্রত্যেক জেলা কমিটি ও মহানগর কমিটিকে শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘেœ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে আজ এসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, শ্রী জয়ন্ত সেন দীপু, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, বীরেন সাহা, জে. এল ভৌমিক, ডি. এন. চ্যাটার্জী, মনীন্দ্র কুমার নাথ, অ্যাড. তাপস কুমার পাল প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ এলাকার পরিস্থিতি, পূজোর প্রস্তুতি এবং নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রাথমিক হিসাব মতে, সারা দেশে এবার প্রায় ৩১ হাজারের অধিক পূজোর আয়োজন করা হচ্ছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় প্রতিমা তৈরী থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি পূজা মন্দির, ম-পে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নারী ও পুরুষের পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা রাখা সহ কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয় ।
এছাড়াও কোনো প্রকার গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করাসহ অনাকাঙ্খিত যে কোন দুর্ঘটনার সংবাদ তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানায় ও কেন্দ্রীয় কমিটির মনিটরিং সেলে জানানোর কথা বলা হয় ।
আগামী ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মানুসারীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ৮ অক্টোবর বিজয়াদশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।
বাসস/সবি/কেসি/২০০০/-আসচৌ