বাসস দেশ-২৮ : বিএনপি হাওয়া ভবনের মাধ্যমে দুর্নীতি-কমিশন বাণিজ্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল : ড. হাছান মাহমুদ

248

বাসস দেশ-২৮
হাছান-বিএনপি-দুর্নীতি
বিএনপি হাওয়া ভবনের মাধ্যমে দুর্নীতি-কমিশন বাণিজ্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল : ড. হাছান মাহমুদ
ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ‘হাওয়া ভবন’ তৈরির মধ্যমে দুর্নীতিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া এবং তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান কালো টাকা সাদা করেছিলেন। খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান দেশে সকল কাজের জন্য ১০ শতাংশ কমিশন প্রথা চালু করেছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার আমলে দুর্নীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। তার পুত্র ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক রহমান ১০ শতাংশ কমিশনের প্রবর্তক। খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আমার প্রকাশনী আয়োজনে সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আলোচনায় একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান নেয়ায় আওয়ামী লীগ সরকার যেকোন রকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া চলমান থাকবে এবং এ থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ যারা জাতির জন্য তথা দেশের জন্য লজ্জা নিয়ে এসেছিল, এ ব্যাপারে তাদের নীতির কথা বলার কোন অধিকার নেই।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ দেয়ার এবং তাদের দুর্নীতির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। গত অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। এই অর্থবছরে এর হার আরো বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের দিক থেকে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যদিও বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং দেশের কৃষি জমি অনেক কম। বিশ্বনেতা, নোবেল বিজয়ী এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের এই অপ্রত্যাশিত উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ এবং অভি চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ড. হাছান বই দুটির লেখক অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান এবং নূর-উন-নাহার মেরির সঙ্গে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
বাসস/পিএসবি/অনু-এসই/১৯৫৫/আরজি