বাসস দেশ-২৪ : সিআইপি কার্ড পেলেন ১৮২ ব্যবসায়ী

166

বাসস দেশ-২৪
সিআইপি-কার্ড-বিতরণ
সিআইপি কার্ড পেলেন ১৮২ ব্যবসায়ী
ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রফতানি বাণিজ্য অবদান এবং বাণিজ্য সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ১৮২জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) কার্ড দিল সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের জন্য তাদেরকে নির্বাচিত করেছে।
বুধবার রাজধানীর পাাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ কার্ড বিতরণ করেন।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতি অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম,রফতানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ইয়াসমীন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য রাখেন।
রফতানিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ অনুষ্ঠানে ১৩৬ জন রফতানিকারক ও পদাধিকারবলে ৪৬ জন ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। সিআইপি কার্ডধারীরা সচিবালয়ে প্রবেশে বিশেষ পাস পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান,রেল,সড়ক ও নৌপথে আসনে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারেরও সুযোগ পাবেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সিআইপি সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ২০১৩ সালে নীতিমালা করা হয়,যেখানে সিআইপি নির্বাচন করা হচ্ছে ১৮২জনকে। এখন ৬ বছর পর দেশের রফতানি বেড়েছে, অর্থনীতিও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সুতরাং সিআইপি কার্ডের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে আমরা তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চাই। প্রশংসা করতে চাই। আমি আশা করি আগামীতে বেশি সংখ্যক কার্ড দিতে পারব। পণ্যের মানদন্ড এবং রফতানি পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সিআইপি নির্বাচন করা হবে বলে তিনি জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন,রফতানি সম্প্রসারণের জন্য কেবলমাত্র একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। পণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে। একইসাথে তিনি নতুন বাজার তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন জানান,রফতানি সম্প্রসারণের জন্য সরকার পণ্যের মান উন্নীতকরণের পাশাপাশি নতুন বাজার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোশিয়ার দেশগুলোতে বাজার তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে। চলতি অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৯১০/-আসচৌ