শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি দমনে দুদকের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

397

ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কমিশন শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) এর দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি ড.সুরুচি পান্টের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
তরুণ প্রজন্মকে মানবসম্পদে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই এ কথা উল্লেখ করে দদুক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ইউএনওডিসি যেসব প্রশিক্ষণ এবং সেমিনার-সিম্পেজিয়ামের আয়োজন করছে তাতে দুদক কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন এবং এতে তারা উপকৃত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমে সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে না, যা আমাদের বড় শক্তি। আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে যে, দুদক তার কাজ-কর্মের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত মাত্রার জন আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাই নাগরিকগণের আস্থা অর্জনের উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যে সব দুর্নীতি সংঘটিত হয় তা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। অপরাধীরা এমনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং।
বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিতভাবে এবং প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিংসহ সকল প্রকার অবৈধ লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, অর্থ পাচার বন্ধ করতে হলে এসব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। যারা জাল-জালিয়াতি করে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করছেন তারাই ওভার-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমের মানিলন্ডারিং করছেন বলে আমাদের ধারণা। তাই সকলের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকল্পে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করছে । এরই মধ্যে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কমিশনের অভ্যন্তরে দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না।
ড. সুরুচি পান্ট জানান, ইউএনওডিসি’র অর্থায়নে পরিচালিত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও টারসিয়ারি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা বিকাশে “এডুকেশন ফর জাস্টিস” কর্মসূচির সাথে দুদকের কর্মসূচির মিল রয়েছে। এই কর্মসূচি গেমস-সহ বিভিন্ন বিনোদেনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার বিকাশে কাজ করছে । বাংলাদেশে পাইলটিং হিসেবে এর কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের এসব কার্যক্রম অনুশীলনযোগ্য। টেকনিক্যাল সহযোগিতার মাধ্যমে কমিশনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিকাশে ইউএনওডিসি কাজ করতে পারে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনওডিসি’র বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রোগ্রাম অফিসার (টেররিজম প্রিভেনশন) মারিনা ইয়াকুনিনা, দুদকের প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।