বাসস ক্রীড়া-১১ : এবারের আসরের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’

127

বাসস ক্রীড়া-১১
বিপিএল-বঙ্গবন্ধু
এবারের আসরের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’
ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বাসস) : বিপিএলের এবারের আসরে নাম ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল) : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমানের শততম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’। অন্যবারের মত ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক নয় এবারের আসর পরিচালনা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট কর্তপক্ষ ইতোমধ্যেই ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ব একাদশ ও এশিয়া একাদশের মধ্যে দুই ম্যাচের একটি টি-২০ সিরিজ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়াও এবারের বিপিএল বঙ্গবন্ধুর নামে করার একটি সুবর্ন সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বিসিবি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক নয় এবারের আসরটি পরিচালিত হবে বিসিবি’র মাধ্যমে।
বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে রাজস্ব ভাগাভাগি এবং অন্যান্য কিছু ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্বের সমাধান না হওয়ায় বিসিবি এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
পাপন বলেন, ‘আগামী বছর জাতি বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী পালন করবে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা টুর্নামেন্টটি বঙ্গবন্ধুর নামে পারিচালনা করব এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির হাতে দেব না।’
‘আপনি বিগ ব্যাশের কথা ভাবতে পারেন এবং একই ফর্মেট ব্যবহার করা হবে এবার হবে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। কোন স্পন্সর থাকলে টুর্নামেন্টের নামকরণে সবার আগে আসবে বঙ্গবন্ধুর নাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব শেষ। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে আমরা নতুন চুক্তি করতে চেয়েছিলাম। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিছু দাবী-দাওয়া দিয়েছে, যা গণমাধ্যমে এসেছে। তাদের প্রতিক্রিয়াও আমাদের নজরে এসেছে। তাদের দাবীগুলো আমাদের মূল কঠামোর সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। কোনভাবেই তাদের দাবী মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
তিনি আরো বলেন,‘ তাছাড়া কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি দাবী করেছে এক বছরে তারা দু’টি বিপিএল চায় না, কাদের ওপড় বেশি চাপ পড়বে। সব সকিছু বিবেচনা করে এবারের বিপিএল আমরাই (বিসিবি) চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবারের আসরটি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক থাকছে না।’
মূলত বিসিবি’র কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো রাজস্বের ভাগ চাওয়াই মূল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কেননা এটা দিতে রাজি নয় বিসিবি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘রাজস্ব ভাগাভাগি সম্ভব নয়। তারা ৮০ কোটি দিলে আমরা ৪০ কোটি তাদের দেব। অতীতে অংশগ্রহণ ফি ছিল আট কোটি টাকা । কিন্তু এখন আমরা সেটা করেছি এক কোটি টাকা। তারা আর কি চাইতে পারে। ’
‘আমরা চাই যারাই এ টুর্নামেন্টে আসবে তারা বিপিএল এবং খেলোয়াড়দের কল্যাণে এগিয়ে আসবে, ব্যবসার জন্য নয়। এখানে ব্যবসা করার কোন সুযোগ নেই।’
বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিপএলকে সব সময় বলে আসছে অলাভজনক বলে আসছে। তবে পাপন তাদের সঙ্গে এক মত নন।
তিনি বলেন, ‘বিপিএলে যদি লোকসান হয় তবে তারা ৪ কোটি টাকা দিয়ে একজন খেলোয়াড়কে কিনতো না।’
বিসিবি সভাপতি আরো জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক না হলেও কেউ কোন দলকে স্পন্সর করতে চাইলে, করতে পারে। দলগুলোর নাম আপাতত আগের মতই থাকছে। আগের মতই নিলাম হবে। কোচিং স্টাফ সরবরাহ করবে বিসিবি। তবে কোন স্পন্সর যদি সরাসরি বিদেশী খেলোয়াড় আনতে চায়, বাাঁধা নেই।
বাসস/এসএমপি/স্বব/১৯৪০/মোজা/এএমটি