বাজিস-২ : টাঙ্গাইলে আখের আবাদ বাড়ছে, লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

229

বাজিস-২
টাঙ্গাইল- আখের আবাদ
টাঙ্গাইলে আখের আবাদ বাড়ছে, লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা
টাঙ্গাইল, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ (বাসস): জেলায় আখের আবাদ বাড়ছে। আর আখ চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। চলতি বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২৭ হেক্টর বেশি জমিতে আখচাষ হয়েছে এবং ২৬ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হয়েছে।
টাঙ্গাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে সখীপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা ছাড়া বাকি ১০টি উপজেলাতেই আখের চাষ করা হয়েছে।এ বছর জেলায় ৫৫৯ হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আখ চাষ করা হয়েছে ৭৮৬ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২৭ হেক্টর বেশি।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, বাসাইল উপজেলায় ২ হেক্টর, কালিহাতী উপজেলায় ৩০ হেক্টর, ঘাটাইল উপজেলায় ১৬ হেক্টর, নাগরপুর উপজেলায় ২৮০ হেক্টর, মির্জাপুর উপজেলায় ৩২ হেক্টর, মধুপুর উপজেলায় ১১ হেক্টর, ভুঞাপুর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, গোপালপুর উপজেলায় ১২ হেক্টর ও দেলদুয়ার উপজেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০ থেকে ৩০ ভাগ আখ কাটা হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চাড়াবাড়ি এলাকার আখচাষি জলিল মিয়া জানান, এ বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন।আর জমি তৈরি, চারা কেনা, শ্রমিক, সার, কিটনাশকসহ তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। দেড় লাখ টাকার উপরে আখ বিক্রি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে জেলায় আখের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।কৃষি বিভাগ থেকে আখচাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।এছাড়াও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে জেলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কৃষক আখ চাষের সাথে জড়িত-একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আখ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আখ ক্ষেতে ‘সাথী’ ফসল আবাদ করে তা থেকে আখ চাষের খরচ উঠে আসে।পরে চাষিরা আখ বিক্রির টাকা এককালীন লাভ হিসেবে পান। আর জেলার চাহিদা মিটিয়ে টাঙ্গাইলের আখ পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/১৭৫৫/এমকে