জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে : পরিবেশ মন্ত্রী

194

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে বিশ্বকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
ভারতের নয়াদিল্লীতে চলমান ইউএনসিসিডি কপ-১৪ সম্মেলনে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। আমাদের কৃষি সম্পূর্ণ নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। উজানের পানি প্রবহ সংকুচিত হবার ফলে আমাদের কৃষি ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে। এই নদীগুলোতে পানি প্রবহ সচল রাখার জন্য আমাদের উজানের পানির ওপর নির্ভর করতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এখন মরুময়তার হুমকীতে পড়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে আমাদের সীমিত ভূমিতে একাধিক ফসল ফলাতে হয়, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে সেটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা চাইলে এ সকল সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান করতে পারি।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ২০১৮ সালে আমাদের পরিবেশ নীতি সংশোধন করেছি। ভূমির ক্ষয়রোধ এবং নদীর প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য আমরা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা সৃষ্ট দীর্ঘ মেয়াদী চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ‘ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০’-এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। বরেন্দ্র অঞ্চলে মরুময়তা ও খরার প্রভাব প্রশমনের জন্য আমাদের সরকার ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সফলভাবে মরুময়তাকে প্রাথমিক পর্যায়ে থামিয়ে দিয়েছে।
চলতি সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য ২০১৮-২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩০টি সিদ্ধান্তের বিষয়ে সম্মতির মাধ্যমে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের একমত হওয়ার কথা রয়েছে। এগুলো হলো মরুময়তা ও ভূমি অবক্ষয় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর জীবনের উন্নতি করা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের উন্নয়ন করা, দুর্যোগ ও খরার প্রভাব প্রশমিত করা।