বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্ণার লন্ডনে বইমেলায় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা

177

ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ হাইকমিশনের ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ লন্ডনে বইমেলায় যোগ করছে ভিন্ন মাত্রা। ‘বাংলাদেশ বইমেলার’ উদ্বোধনের সাথে সাথেই মেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’। আগত দর্শকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের লেখা এবং তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর অন্যান্য লেখক গবেষকদের রচিত বিভিন্ন বই গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখেন।
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোস্টার ও ব্যানারে সাজানো এই স্টলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইগুলোও স্থান পেয়েছে। মেলায় আগত দর্শকরা এসব বই কিনে সংগ্রহে রাখার জন্য সংশ্লি¬ষ্ট প্রকাশকদের তথ্যও এই স্টল থেকে সংগ্রহ করেন।
আজ সোমবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে ৯ম ‘বাংলাদেশ বইমেলার’ উদ্বোধন করেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি এর প্রসারে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, এরই অংশ হিসেবে লন্ডনের বিভিন্ন কমিউনিটি পাঠাগারে বাংলা ভাষায় রচিত আরো বেশি বই রাখার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ‘সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ দু’দিনব্যাপি এই বইমেলার আয়োজন করে। বেলুন উড়িয়ে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়।
অন্যান্যের মধ্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মেলায় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন’ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করা হবে। বইমেলায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ তারই পূর্ব প্রস্তুতি বলা যায়।
হাই কমিশনার বইমেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং যুক্তরাজ্যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি প্রসারে অভিবাসী বাংলাদেশিরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তারও প্রশংসা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় বইমেলার সাফল্য কামনা করেন।
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী গত ১৫ আগস্ট থেকে পায়ের ব্যথার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আগামী প্রকাশনী এবার মেলা উপলক্ষে তাকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, হাই কমিশনার ও আগামী প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি হাসপাতালে গিয়ে গাফ্ফার চৌধুরীর কাছে রোববার এই সম্মাননা স্মারক হস্তান্তর করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক শামিম আজাদ, সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্যের সভাপতি ফারুক আহমদ, সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন বুলবুল ও ড. মুকিত খান এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এবারের বই মেলায় ১৫টি বাংলাদেশী প্রকাশনা সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে।
মেলায় বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি লেখকদের বই স্থান পেয়েছে।