অবৈধ অনুপ্রবেশকারী জাহাজের মোটিভ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

181

ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ২ টি বিদেশী ফিশিং জাহাজের চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানের জন্য ব্যবস্থাগ্রহণসহ জাহাজগুলোর সার্বিক তথ্য ও মোটিভ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার বিদেশী অবৈধ ফিশিং জাহাজ দুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু’র সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, ‘এফভি উইন্ড সি’ এবং ‘এফভি উইন্ড ভিউ’নামক ক্যামেরুনের পতাকাবাহী ২টি অবৈধ বিদেশী ফিশিং জাহাজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতীত এবং আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন লংঘন করে বাংলাদেশের কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশের পর বর্তমানে চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজ এর জেটিতে অবস্থান করছে।
মাছধরার অবৈধ জালভর্তি জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট ইন্টারমডেল প্রাইভেট লিমিটেড মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে সম্পূর্ণ ভূয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ২১ আগস্ট জেটিতে প্রবেশ করায় এবং ২৬ আগস্ট বন্দরত্যাগের কথা জানালেও এখনো জাহাজ দুটি বাংলাদেশী জলসীমা ত্যাগ করেনি।
জাহাজ দুটির কাগজপত্রে ব্যাপক ত্রুটিসহ কাটাকুটি করে পোর্ট ক্লিয়ারেন্স পরিবর্তন করা হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এমনকি পোর্ট ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করে জাহাজ দুটির কম্বোডিয়ায় যাবার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে এখনো অবস্থান করায় সভায় বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।
মেরিন ফিশারিজ একাডেমী, চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর এবং কোস্টগার্ডের সরেজমিন তদন্তে জাহাজ দুটিতে মেরামতযোগ্য কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি এবং এরা ফিশিং ভেসেল হলেও স্থানীয় এজেন্ট মার্চেন্ট ভেসেল দেখিয়ে কাস্টমসের ছাড়পত্র নেয়ায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সভায় ত্রুটিপূর্ণ এবং সন্দেহযুক্ত কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে জাহাজ দুটিকে ছাড়পত্র দেয়ায় জড়িত কাস্টম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও জাহাজ দুটির সঠিক তথ্য ও মোটিভ নিরূপনের জন্য আগামীকালের মধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মন্ডল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এফেয়ার্স বিভাগের সচিব রিয়াল এডমিরাল (অবঃ) মোঃ খোরশেদ আলমসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।