বাসস দেশ-১০ : পাটখাতের সমস্যা সমাধানে সরকার সদা সচেষ্ট রয়েছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

137

বাসস দেশ-১০
পাটমন্ত্রী-বিজেএ-বৈঠক
পাটখাতের সমস্যা সমাধানে সরকার সদা সচেষ্ট রয়েছে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, সরকার পাটখাতের সমস্যা সমাধানে সদা সচেষ্ট রয়েছে। দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ ও পরিবেশবান্ধব পাটজাত সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে সরকার পাটের সোনালি সুদিন ফিরিয়ে এনেছে।
রোববার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ খুরশীদ ইকবার রেজভী, বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যন আরজু রহমান ভূঁইয়া, বিজেএ’র সাবেক সভাপতি মোঃ রেজাউল করিমসহ বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন-এর প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পাটখাতে বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং এর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় পাট শিল্পে প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে, কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকার বাধা প্রদান করবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ খাতের নানামুখী সমস্যা সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে। বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাটখাতের রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পাটকে বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এ ২৮০ প্রকার পাটপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে । পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাটকাঠি থেকে চারকোল, পাটপাতার পানীয়সহ নতুন নতুন বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে জোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।
বাসস/সবি/এমএন/১৬৩৫/কেএআর