বাসস দেশ-২৮ : সরকার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণে কাজ করছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

120

বাসস দেশ-২৮
ভূমিকম্প-প্রস্তুতি-কার্যক্রম
সরকার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণে কাজ করছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, সরকার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণে কাজ করছে। বড় বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে জাপান সরকার ও জাইকা আর্থিকসহ সব ধরণের কারিগরি সহায়তা দেবে। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই জাপান সরকার এবং জাইকার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
আজ ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ভূমিকম্প প্রস্তুতি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এবং টাঙ্গাইল, রাঙ্গামাটি এবং সুনামগঞ্জ পৌরসভার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শাহাদৎ হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোহসীন এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন, টাঙ্গাইল, সুনামগঞ্জ ও রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়রগণ বক্তব্য রাখেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে দেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ হবে তা কাটিয়ে উঠা কঠিন হবে। তাই ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণের বিকল্প নেই। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জাপানের মতো একটি ভূমিকম্প দুর্যোগ সহনীয় দেশ উপহার দিতে সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে পুরাতন ভবনগুলো সংস্কার করে ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হবে। দেশের প্রকৌশলী ও স্থপতিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে যাতে তারা ভূমিকম্প সহনীয় ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ২২০ কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী কেনা হয়েছে এবং আরো ১ হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী বা যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাসস/সবি/এমএন/১৯৪২/এইচএন