চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন

276

চাঁদপুর, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ( বাসস): জেলার ডাকাতিয়া নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, যার ফলে হুমকির মুখে রয়েছে বহু বসতঘর। ইতোমধ্যে অনেক আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে যেসব পরিবারের বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে, তাদের অনেকেই নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গন ঠেকাতে বাশেঁর খুটি দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার পৌর ৫ নং ওয়ার্ডস্থ রঘুনাথপুর বাজার সংলগ্ন শেখ বাড়ী, খান বাড়ী, পন্ডিত বাড়ী কাজী বাড়ী ও গাজী বাড়ীর প্রায় অর্ধশত পরিবারের বসতঘর ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুনুর রশীদ দোলন জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জোয়াড়-ভাটায় পানির তীব্র ¯্রােতে এসব এলাকায় ভাঙ্গন দেখাদেয়। গত কয়েক বছরে সেখানকার অনেক বসতঘর ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।ভাঙ্গন রোধেঁ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এ জনপ্রতিনিধি।
চাঁদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালি জানান, গত বছরের ৮ আগস্ট চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্র্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হায় এর বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন এলাকায় জরিপ করেন। এবং ঝুঁকি পূর্ণ ২৫০ মিঃ এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী বাধঁ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। যার ফলে ভোক্তভোগীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল ভূইয়া ও সাহেব আলী জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের এ সময়টাতে এখানে ভাঙন দেখা দেয় পানির তীব্র¯্রে ্রাতে বসতঘর তলিয়ে যায়। এখানে বসবাসরত পরিবার গুলো একেবারেই হতদরিদ্র। তাদের ভিটে মাটি রক্ষা করা না হলে এসব পরিবার মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রোকৌশলী মোঃ আবু রায়হায় জানান, আমরা ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরিপ চালিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি এখনো তার বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুতই আবার জানাবো।