বাসস দেশ-২৯ : ডিএসসিসির এবারের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণে দ্বিগুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে

133

বাসস দেশ-২৯
মশক-নিয়ন্ত্রণ
ডিএসসিসির এবারের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণে দ্বিগুণ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে
ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দ দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে।
নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন ডিএসসিসি’র মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
ঘোষিত এই বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণের খরচ বাড়িয়ে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ করা হয়েছে। যদিও গত অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম গত জুলাই মাসের ১৬ তারিখ। কিন্তু ঢাকা শহরে মশা এবং ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পর আমরা সেই তারিখ পরিবর্তন করেছি। তাই এ বছরের বাজেট ঘোষণা দীর্ঘ প্রায় দেড়মাস বিলম্বে করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার দেশে এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রবণতা বেশি থাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে বিগত যেকোন অর্থবছরের তুলনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবারের বাজেটে এই খাতে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে এবং চলতি সপ্তাহে এই অবস্থার আরো উন্নয়ন ঘটবে। তবে মশক নিধন কার্যক্রম সারা বছর চলমান থাকবে।
মশক নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ৫ বছর মেয়াদী একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আওতায় জনবল বৃদ্ধি করে ‘কমিউনিক্যাবল ডিজিস এন্ড রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট’ নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা হবে।
মেয়র বলেন, আগামী বছরে ঢাকা শহরে যেন মশার উপদ্রব বৃদ্ধি না পায় সেজন্য আমরা প্রথম থেকেই সজাগ থাকবো। নগরবাসীকেও সচেতন করার কাজটি বছরের শুরু থেকেই করা হবে।
ডিএসসিসি’র বাজেট বিবরণীতে দেখা যায়, নতুন বাজেটে মশার ওষুধ ও জ্বালানী কেনায় মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিল ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যদিও এই পুরো অর্থও খরচ করতে পারেনি তারা।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন পুকুর ও নালার কচুরীপানা ও আগাছা পরিস্কার করতে নতুন বাজেটে পাঁচগুণেরও বেশি বাড়িয়ে এ বছর বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা গত বছরে যা ছিল মাত্র ২৫ লাখ টাকা। একই সাথে মশা মারার ফগার /হুইল/স্প্রে মেশিন পরিবহনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে যা ছিল ২ কোটি এবং সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে করা হয় মাত্র ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৮২০/-এইচএন