বাসস দেশ-১৬ : বিএসএমএমইউ’র ৩৭২ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি সম্পন্ন

104

বাসস দেশ-১৬
বিএসএমএমইউ-কর্মশালা
বিএসএমএমইউ’র ৩৭২ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি সম্পন্ন
ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৩৭২ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে।
কথা শেখানোর মাধ্যমে এসব শিশুদের পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আজ শহীদ ডা. মিলন হলে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের কথা শেখানো ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট হেবিলিটেশন শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার এর উদ্বোধন করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাক কান গলা বিভাগের চেযারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী ও ভারতের ভাষা শেখানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বাহিসটাই জামশেদ ডাবু ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার।
অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, বিএসএমএমইউ’র জটিল জটিল রোগের সফল চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। নতুন নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারির মতো লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে করা সম্ভব হয়েছে এবং এই মহতী সেবা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
ডা.মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট একটি টিম ওয়ার্ক। ডিভাইস স্থাপন করা এসব শিশুকে কথা বলা ও ভাষা শেখাতে হবে। যা সার্জনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সফল করতে সার্জন, অডিওলজিস্ট, স্পিচথেরাপিস্ট এবং এসকল শিশুর অভিভাবকদের অন্যন্য ভূমিকা পালন করতে হয়।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউয়ে প্রতি বছর গড়ে ১০০ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করাদের সত্যিকার অর্থেই পুনবার্সন করতে বা পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে একটি ‘স্পিচ হিয়ারিং এন্ড ব্যালেন্স সেন্টার বা ইনস্টিটিউট’ চালু করা প্রয়োজন।
বাসস/সবি/এসএস/১৭২৫/এএএ