শিল্প কারখানা স্থাপনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হোন : প্রধানমন্ত্রী

1380

ঢাকা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় সব ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানে আশ্বাস দিয়ে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার ব্যবসা-বান্ধব সরকার। ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবে, তাদের কাজে আমরা সহযোগিতা করব।’ তাঁর সরকার এ ব্যাপারে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ।
শেখ হাসিনা গতকাল সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৬-১৭ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদেরকে আমি একটাই অনুরোধ করবো, যে শিল্প বা শিল্পাঞ্চল আপনারা গড়ে তুলবেন বা শিল্পোন্নয়ন করবেন পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি আপনাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থপনাটা শুরু থেকেই করতে হবে যেমন, খুব হার্ড কেমিক্যাল ওয়েস্ট অথবা সলিড ওয়েস্ট বা অন্যান্য লিকুইড ওয়েস্টের ব্যবস্থাপনা যদি শুরু থেকেই করেন তাহলে আমাদের পরিবেশ রক্ষায় একটি সহযোগিতা হবে এবং দেশের জন্য, মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে।’ তিনি ব্যবসায়ীদের এদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান।
এই প্রসঙ্গে তিনি প্রতিটি শিল্প এলাকায় একটি করে জলাধার রাখার ব্যাপারে নজর দেয়ার জন্যও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, যেন বৃষ্টির পানি সেখানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়। যতগুলো স্থাপনা হবে সেখানকার বৃষ্টির পানি এখানে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাতে করে অগ্নিকান্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এই পানি ব্যবহার করা যায়।
শিল্প এলাকায় একটা জলাধার থাকলে সেখানকার পরিবেশটাও ভাল থাকে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সে স্থানে অধিকহারে বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘শিল্পাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা আমাদের পরিবেশের জন্যই দরকার। আপনারা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম ফাতিমা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যগণ, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিল্প সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিদেশি কূটনিতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশের রপ্তানি খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ২৮টি ক্যাটাগরিতে ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের মাঝে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৬-১৭-র ২৯টি স্বর্ণ, ২১টি রৌপ্য এবং ১৬টি ব্রঞ্জ ট্রফি প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘জাবের এন্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড’ টানা ৬ষ্ঠ বারের মত শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক হিসেবে ২০১৬-১৭ সালের রপ্তানি স্বর্ণ ট্রফি জয় করে।
‘জাবের এন্ড জুবায়ের লিমিটেড’ ২০১৭ সালের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের জন্য আরো একটি স্বর্ণ ট্রফি লাভ করে।
অনুষ্ঠানে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যেও সম্প্রসারণের ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়।
রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন পণ্য সংযোজনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রপ্তানি পণ্য সংযোজনের জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। সেইসাথে আমাদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি সেইদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। বাজার খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদের দেশের রপ্তানি খাতের সম্প্রসারণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যে যেই দেশের অ্যাম্বাসেডর সেই দেশে কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেই পণ্যের মধ্যে কোন কোনটি আমাদের নিজেদের দেশে উৎপাদন করতে পারি, রপ্তানি করতে পারি এবং সেই সুযোগটা যাতে সৃষ্টি হয় তার জন্য তাঁরা যথাযথ ভাবে কাজ করবেন এবং আমাদের উৎপাদিত পণ্যগুলি সে দেশের মানুষের সামনে যেন তুলে ধরা যায় সে ব্যবস্থাও তারা নেবেন।’
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা যেমন কূটনীতিকদের সহযোগিতা করতে পারেন তেমনি তাঁদের সহযোগিতাও নিতে পারেন বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আমাদের রপ্তানি পণ্যের সম্ভার অতীতের থেকে সমৃদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের নতুন নতুন অনেক পণ্য এসেছে, যেমন আইসিটি।’
তিনি বলেন, এই তথ্য প্রযুক্তির বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের চামড়াসহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য, পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, ফার্মাসিউটিক্যালস, আসবাব পত্র, জুয়েলারি প্রভৃতিসহ বিভিন্ন নন ট্যাডিশনাল পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় যেসব দেশের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যেও এখনও প্রবেশাধিকার ঘটেনি সেসব দেশেও প্রবাশী বাংলাদেশীদের বসবাস রয়েছে উল্লেখ করে তাঁদের মাধ্যমে সুযোগকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বৈদেশিক বাণিজ্য ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ‘ফরেন ট্রেড ডিভিশন’ চালু করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সাড়ে ১০ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২০২টি দেশে প্রায় ৭৫০টি পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে ৪৬ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করেছে। এই সময়ে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
২০০৫-০৬ অর্থবছরে যেখানে দেশের বাজেটের পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। যা জিডিপি’র ১৮ দশমিক ১ শতাংশ বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ-এর সর্বশেষ জিডিপি’র র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাংলাদেশ পিপিপি ভিত্তিতে বিশ্বের ৩০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। সেইসাথে দক্ষিণ এশিয়ায় ২য় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এবার দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ। তাঁর সরকারের প্রত্যাশা ২০২৩-২৪ সালে এই প্রবৃদ্ধির হারকে ডবল ডিজিটে (১০ শতাংশ) নিয়ে যেত সমর্থ হবে।
তাঁর সরকারের দারিদ্র বিমোচানের সাফল্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার কমে এখন ২১ শতাংশ হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৯০৯ ডলার। আশা করছি, মাথাপিছু আয় অচিরেই ২ হাজার ডলার অতিক্রম করবে এবং ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ দারিদ্র ১৬-১৭ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।’
এই সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪,৫ ও ৬ এর কোঠায় থাকায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগণ এর সুবিধা পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির হার উচ্চ হলে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে তুণমূলের মানুষ এর সুবিধাটা পায়। যেটি এখন দেশের জনগণ পাচ্ছে।’ ‘ফলে, দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে,’ বলেন তিনি।
দেশের শিল্পায়নে বিদ্যুৎকে অন্যতম চালিকা শক্তি আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন দেশের ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।’
‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল, মাতারবাড়ি, পায়রা ও মহেশখালীতে মেগা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর সরকার দেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘শিল্প স্থাপনে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সমস্যার সমাধান করেছি এবং এলএনজি আমদানি শুরু করেছি।’
ফেøাটিং এলএনজি টার্মিনাল এবং ল্যান্ড বেজ টার্মিনালও করা হবে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৮-২০২১ সন মেয়াদি রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করেছে। প্রচলিত পণ্যের পাশাপাশি অপ্রচলিত পণ্যের ক্ষেত্রেও রপ্তানি ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। ফলে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকগণ রপ্তানি বাণিজ্যে সক্ষমতা বাড়াতে পারছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তৈরি পোশাকখাতে এ বারের বাজেটে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানিতে অতিরিক্ত ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টায় ডব্লিউটিও কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের জন্য ঔষধের মেধাস্বত্ব মেয়াদ ১ জানুয়ারি ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানোয় ঔষধ রপ্তানিতে এটি বিরাট অবদান রাখবে।
ডব্লিউটিও’র আওতায় সেবাখাতে স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রদত্ত ‘ওয়েইভার’র মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করায় রপ্তানি আরো বৃদ্ধির আশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের জন্য তাঁর সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ ও প্রণোদনার উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক করতে গত অর্থবছরে ৩৫টি খাতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ অর্থবছরে আরও কিছু রপ্তানি পণ্যকে নগদ সহায়তার আওতায় আনা হচ্ছে।’ ‘বাণিজ্য বসতী লক্ষী’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি ও ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সুদের হার ‘সিঙ্গেল ডিজিটে’ নামিয়ে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানির জন্য কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ‘এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’র (ইডিএফ) আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সহজে স্বল্প সুদে ঋণ পাবার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
সরকার বাণিজ্য সহায়ক প্রতিষ্ঠানসমূহকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ‘অনলাইন লাইসেন্সিং মডিওল’ (ওএলএম) চালু করা হয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে এবং কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন ফিসহ সকল ফি কমানো হয়েছে।
বিগত নির্বাচনে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন জোটের একতাবদ্ধট হয়ে নৌকাকে সমর্থন প্রদানের ঘোষণাকে অভূতপূর্ব আখ্যায়িত করে এজন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,‘দেশের ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য আমরা বিদ্যমান কোম্পানি আইনকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছি।’
এ সময় দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর এবং দক্ষ ও কর্মঠ যুব সমাজ গড়ে তোলায় সরকারের উদ্যোগ ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজ ও তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, তাদের জন্য ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা- ২০১৮ প্রণয়ন এবং ‘ই-বাণিজ্য করবো, নিজের ব্যবসা গড়বো’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণেরও উল্লেখ করেন তিনি।
দক্ষিণ আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশসমূহের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য তাঁর সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার ও তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
‘নতুন পণ্য নতুন দেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি বৃদ্ধির আকাঙ্খা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনের লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’