বাসস দেশ-৩২ : জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

359

বাসস দেশ-৩২
শোক-দিবস-আলোচনা
জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা তার আদর্শকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্য তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। কিন্তু খুনীরা সফল হয়নি। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী ।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব ড. ফরাস উদ্দিন, কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড এস. এম. মাকসুদ কামাল, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম ব্যক্তিগত সহযোগী হাজী গোলাম মোর্শেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।
মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজনও জীবিত থাকলে তাঁর আদর্শের মৃত্যু ঘটানো যাবে না। তাই তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তাদের সে পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরাধিকার সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার চেতনা, আদর্শ ও মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন ।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জাতিসংঘে শুধু প্রথম বাংলায় ভাষণই দেননি, তিনি বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রধানদের অনুরোধ করেছিলেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা পরিত্যাগ করে শিক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণে সেই অর্থ ব্যয় করতে। এই অনুরোধ করার মানসিক সাহস অনেক নেতার থাকে না।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে আলজেরিয়ার রাজধানী আরজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের সকল বাঘা বাঘা নেতৃবৃন্দের মধ্যে তার অনবদ্য ভাষণের জন্য শেখ মুজিব পেয়েছিলেন এক অনন্য সম্মান। আলজেরিয়ার সেসময়ের প্রেসিডেন্ট হুয়ারে বুমেদিন বঙ্গবন্ধুর সম্মানে বলেছিলেন, আমি সভাকক্ষে প্রবেশ করব আর শেখ মুজিব সম্মান জানানোর জন্য উঠে দাঁড়াবে এটা হতে পারে না। তাই দুজনে একই সাথে হলরুমে প্রবেশ করেছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বাসস/সবি/এমএআর/২১৪০/-এএএ