বাসস দেশ-৪ : পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে শিশুরা ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ে : বিচারপতি ইমান আলী

191

বাসস দেশ-৪
বিচারপতি-বক্তৃতা
পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে শিশুরা ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ে : বিচারপতি ইমান আলী
ঢাকা, ৩১ আগস্ট ২০১৯ (বাসস) : আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি ও সুপ্রিমকোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর চাইল্ড রাইটস’র চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেছেন, শিশুরা ক্রাইম করার প্রবণতা নিয়ে জন্মায় না। ক্রিমিনাল হয়ে জন্মায় না। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে ক্রাইমে জড়িয়ে যায়।
এর জন্য কে দায়ী সেটা নিয়ে সকলের চিন্তা করা উচিত বলে মনে করেন বিচারপতি ইমান আলী। পুলিশ সদস্য ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ‘ডাইভারশন ফ্রম দ্য পুলিশ স্টেশন আন্ডার দ্য চিলড্রেন অ্যাক্ট ২০১৩’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আজ এসব কথা বলেন।
আজ সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে সুপ্রিমকোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর চাইল্ড রাইটস ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার, ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন, সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (ইনস্টিটিউশন) মো. আবু মাসুদ ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট শাবনাজ জাহেরীন।
বিচারপতি ইমান আলী শিশুদের বিষয়ে তার নিউজিল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি জানান, যখন আমি নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলাম তাদের শিশু বিচার ব্যবস্থা দেখার জন্য, সেখানে জানতে পারি, থানা থেকেই উনারা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ শিশু আসামিকে মামলা থেকে বাদ দিয়ে দেয়।
১০০ থেকে ৭৫ জন চলে গেলে মাত্র ২৫ জন যায় কোর্টে। কোর্টে যাওয়ার পরে কোর্ট থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ ভাগ ডাইভারশনের মাধ্যমে অব্যাহতি পায়। তিনি বলেন, আজকে এখানে আমরা সবাই উপস্থিত হয়েছি এই ডাইভারশনের ব্যাপারেই আলোচনা করার জন্য।
পুলিশ সদস্য ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের সর্বপ্রথম মনে রাখতে হবে, আমরা যাদেরকে নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি বা করছি তারা হচ্ছে আমাদের দেশের শিশু। আপনারা সবাই জানেন শিশুরা নিষ্পাপ হয়, অবুঝ হয়। ঠিক চিন্তাভাবনা করে কোনো কাজ করে না। এ কথাগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে।
পুলিশ সদস্য ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি ইমান আলী বলেন, আমাদের কাজটা হচ্ছে শিশুদেরকে কিভাবে ভালো পথে নিয়ে আসবো, কি করলে ভালো হবে, এগুলো নিয়ে চিন্তা করা। এ সময় প্রবেশন অফিসার এবং পুলিশ সদস্যদের যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৫১২/এমএবি