ঢাকা, ২৪ জুন, ২০১৮ (বাসস) : রাজধনীতে ঐহিত্যবাহী মণিপুরী নৃত্য উৎসব গতকাল শেষ হয়েছে। দু’দিনব্যপী উৎসবের অনুষ্ঠানমালায় ছিল নৃত্য বিষয়ে আলোচনা, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন সংগঠনের নৃত্য পরিবেশন,আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।
রাতে সমাপণী উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা নৃত্যের মাধ্যমে সংস্কৃতিকে আরো শক্তিশালী আহবান জানিয়ে বলেন, যুগ যুগ ধরে সংস্কৃতি বিকাশে অবদান রেখেছে নৃত্য। মণিপুরী নৃত্য সংস্কৃতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে ।
উৎসব শুরু হয় গত শুক্রবার। যৌথভাবে এই উৎসের আয়োজন করে মণিপুরী নৃত্য সংগঠন, ধৃতি নর্তনালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
দুদিনের আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্যকলা ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক সোহরাব হোসেন, নৃত্য পরিচালক লুবনা মারিয়াম, শহীদুজ্জামান সরকার, ভারতের নৃত্য সামলোচক সুনীল কুঠারি ও লীলা ভেঙ্কাটারমন।
সুনীল কুঠারি বলেন, মণিপুরী নৃত্য এই অঞ্চলের সংস্কৃতির আবহকে নানাভাবে উৎকর্ষিত করেছে। লোকজ সংস্কৃতির বিভিন্ন ঘরানাকেও প্রভাবিত করছে। সোহরাব হোসেন বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছরই মণিপুরী নাচের কয়েকটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে।
লীলা ভেঙ্কাটারমন বলেন, মণিপুরী নৃত্য হচ্ছে শাস্ত্রীয় নৃত্য ঘরানার একটি মাধ্যম। নৃত্যগুরু বিপিন সিংহ রচনা করেছিলেন এই নৃত্য। তিনি এই নাচের রচয়িতা হিসেবে এই অঞ্চলের নৃত্যকর্মে অমর হয়ে আছেন।
দু’দিনের উৎসবের নৃত্যপর্বগুলো পরিচালরা করেন ওয়ার্দা রিহাব, সামিনা হোসেন ও সুইটি দাস চৌধুরী। কল্পতরু, ধ্রুমেল ও ধৃতি নর্তনালয়-এর শিল্পীরা অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে।