বঙ্গবন্ধু মানব সম্পদ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন : পলক

428

ঢাকা, ২৯ আগস্ট, ২০২৯ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ওই সময় ১ লাখ ৫৫ হাজার শিক্ষক সরকারি হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে হত্যা না করা হলে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার সময় পেতেন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের সংগ্রামে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত।
আজ ধানমন্ডিস্থ নায়েম মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং এটুআই এর যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব বিষয়ে ৬ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরুনা বিশ্বাস।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুধু সুস্থ সবল শিশুদেরই নয়, একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী অটিস্টিক শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে শিক্ষাদানসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের ইমার্জিং টেকনোলজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সবার জন্য ইনক্লুসিভ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে এবং ডিজিটাল কারিকুলাম তৈরি করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কানেক্টিভিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভারমেন্ট ও আই সিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন এ চারটি স্তম্ভকে নির্ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জাতির পিতার আধুনিক সোনার বাংলার রূপ, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী নিজেদের অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।