বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সহায়তা চাইলেন রাষ্ট্রপতি

267

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
হামিদ-চীন-দূত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সহায়তা চাইলেন রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেছেন।
ঢাকায় চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে মো. আবদুল হামিদ এ সহায়তা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমি আশা করবো চীন মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।’ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর এক সামরিক অভিযান ও জাতিগত নিধন শুরু হওয়ার পর তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্র প্রধান বলেন, বাংলাদেশ কোন ধরনের সংঘর্ষে বিশ্বাস করে না এবং বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করতে চায়।
এর আগে চীনা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চমৎকার এবং এ সম্পর্ক ধাপে ধাপে সম্প্রসারিত হচ্ছে।
চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে আগামী দিনগুলোতে এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘চীনের অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতায় এখানে অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।’
বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি চীনের সরকারকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আরো বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
চীন সরকারের ‘এক চীন’ নীতি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এক চীন নীতির সমর্থনে অবিচল রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের জন্য একটি উত্তম গন্তব্য মনে করে এবং ইতোমধ্যে অনেক চীনা কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে।
লি জিমিং তার দেশ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে এখানে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে বাংলাদেশে কসভোর প্রথম আবাসিক রাষ্ট্রদূত গানিয়ার উরেয়াও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
ঢাকায় কসভোর রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ঢাকায় আবাসিক মিশন খোলার সিদ্ধান্তের জন্য কসভো সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রেস সচিব রাষ্ট্রপতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘এই নিয়োগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে একটি বহুপক্ষীয় সম্পর্কে রূপ নেবে।’
রাষ্ট্রপতি মো. হামিদ রাষ্ট্রদূতকে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা অনুসন্ধানে অধিকতর সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কসভোর জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের সংহতির একান্ত নিদর্শন হিসেবে কসভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
গানিয়ার উরেয়া কসভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূতদ্বয় বঙ্গভবনে এসে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকশ কন্টিনজেন্ট পৃথক পৃথকভাবে তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বাসস/এসআইআর/অনুবাদ-এইচএন/২০৪৫/মমআ/-কেএমকে