রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়া ছাড়া বিএনপির উপায় নেই : ওবায়দুল কাদের

627

ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া বিএনপির আর কোনো উপায় নেই। অপরাধের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে বিএনপি তাই ক্রমেই ষড়ন্ত্রের পথ বেছে নিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ক্রমেই তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে, তারা জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে। সে কারণে, রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া তাদের এখন আর অন্য কোনো উপায় নেই।’
ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়য়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একেকবার একেক ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। অবশেষে রোহিঙ্গা ইস্যুর ওপর তারা ভর করেছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুকে তারা রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিদেশি কিছু এনজিও পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে। এই বিদেশি এনজিও’র মধ্যে পাকিস্তানপন্থী এনজিও আছে। এরা বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে পাকিস্তানে আশ্রয় দিয়েছে। এরা পদে পদে আমাদেরকে বিপদে ফেলতে চায়।’
কাদের বলেন, আমেরিকা, কানাডা থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ চলছে। কিন্তু, পাকিস্তানে যে দুই খুনি আছে, তাদের ফেরত দিচ্ছে না দেশটি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি আগস্ট মাস এলে রাজনীতিতে বেপরোয়া হয়ে যান। ইতিহাসের আদালতে, প্রচলিত আদালতে, জনতার আদালতে প্রমাণীত হয়ে গেছে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড আপনারা। ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা। সেজন্য আপনাদের মুখ দিয়ে দায় এড়ানোর বক্তব্য আসে।’
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এসেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সারা বছরের প্রস্তুতি রাখতে হবে। মৌসুমি আয়োজনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হবে না।
তিনি বলেন, শুধু ওষুধ ছিটিয়ে এডিস মশার বিস্তার ঠেকানো যাবে না। এডিস মশা বিস্তার ঠেকানোর ওষুধ জন সচেতনতা। ডেঙ্গু মোকাবিলা করার এইটা একটা লড়াই। আমি আশা করি, আমরা এই লড়াইয়ে জয়ী হবো।
জাহিদ মালেক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। এদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সেবাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারা লক্ষ রোগীর সেবা দিয়েছেন। ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা নির্ণয় করার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্ত পরীক্ষা করেছেন এবং এখনও তারা বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব)-এর সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমএ-র মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিবের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য শহীদুল্লাহ সিকদার প্রমুখ।