একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড, আর ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড একই পরিবারের : ওবায়দুল কাদের

341

ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড, আর ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড একই পরিবারের, পিতা ও পুত্র। আর দুই হত্যাকান্ডের প্রাইম টার্গেট হলো পিতা ও কন্যা।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জেনারেল জিয়াউর রহমান। ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি একই সূত্রে গাথা। আগস্টেরই ২১ তারিখে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকেও নিশ্চিহ্ন করতে প্রকাশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সচিবালয়ে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।
কাদের বলেন, একুশে আগস্ট হত্যাকান্ডের যারা কারিগর, এর মধ্যে মুফতি হান্নান জবানবন্দিতে বলেছেন, হাওয়া ভবন থেকে তারেকের নির্দেশে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে। যদি তিনি জড়িত না থাকতেন, তাহলে জজ মিয়া নাটক কেন?
এফবিআইকে কেন তদন্ত করতে দিলেন না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একজন বিচারপতি দিয়ে তদন্তের নামে ৪০ দিন পর প্রতিবেদন করে জানানো হয় এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে বিদেশি কোনো দেশ জড়িত। তারা যদি জড়িত না থাকতেন, তাহলে সূর্য ওঠার আগে সিটি করপোরেশনকে দিয়ে হত্যাকান্ডের আলামত পরিষ্কার করালেন কেন?
জনাব কাদের বলেন ,‘তারা এই হত্যাকান্ডের বিচার করেননি বরং এই বিচার কার্য বন্ধ করার জন্য যা যা করার দরকার করেছেন। সবাই জানে কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে, খুন খুনকে ডেকে আনে। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। এই সত্য পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের অবাঞ্চিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি বার বার ঘটেছে।“ আমি তো বলি জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের পুরস্কৃত না করতেন, নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে না দিতেন, তাদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত না করতেন, এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করতে ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি না করতেন ও খুনিদের বিচার বন্ধ করতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী না করতেন, তাহলে দেশে আর একটি খুনি চক্র জিয়াউর রহমানকে খুন করতে সাহস পেত না।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য চোখের জল ফেললেই হবে না। বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষা আমাদের দিয়ে গেছেন, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, সেই বাংলাদেশটা যেন আমরা নির্মাণ করতে পারি। বঙ্গবন্ধুই বলেছিলেন, গ্রেট জব যদি তুমি করতে চাও, গ্রেট সেক্রিফাইস তোমাকেই করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শুধু ছবি প্রদর্শন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করলে, তার নৈতিকতা থেকে শিক্ষা নিলে, সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রেষ্ঠ উপায়।