বাসস দেশ-৪ : আন্তর্জাতিক কর্মশালায় যোগদানের লক্ষ্যে ব্রাসেলসের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

132

বাসস দেশ-৪
বাণিজ্যমন্ত্রী – কর্মশালা
আন্তর্জাতিক কর্মশালায় যোগদানের লক্ষ্যে ব্রাসেলসের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ঢাকা,২৪ জুন, ২০১৮ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আন্তর্জাতিক কর্মশালায় যোগদানের লক্ষ্যে আজ ব্রাসেলসের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
আগামী ২৬ জুন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিতব্য রেসপনসেবল পারচুয়িং প্রাকটিসেস’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি যোগ দিবেন।
এছাড়াও তোফায়েল আহমেদ আগামীকাল ২৫ জুন ‘সাসটেইনিবিলিটি কম্প্যাক্টের ৪র্থ পর্যালোচনা সভায়ও অংশ নিবেন।
অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর তৈরী পোশাক খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মতিতে সাসটেইনিবিলিটি কম্প্যাক্ট গৃহীত হয়।
কম্প্যাক্ট’র প্রথম পর্যালোচনা সভা ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি ও ২০১৭ সালের ১৮ মে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪র্থ পর্যালোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আইএলওসহ দাতাসংস্থা, উৎপাদনকারী, ক্রেতা, ট্রেড ইউনিয়ন ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিগণ এ সভায় উপস্থিত থাকবেন।
তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এ পর্যালোচনা সভায় যোগদান করছে।
প্রতিনিধি দলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মো. হাবিবুর রহমান খান, বিকেএমইএ’র প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে,এবারের পর্যালোচনা সভা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সভায় শ্রমিকদের অধিকার, বিল্ডিং সেপটি, পেশাগত ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা এবং মানসম্মত বাণিজ্য পরিবেশ পর্যালোচনা করা হবে। ক্রেতাগোষ্ঠি ও শ্রম সংস্থার চাহিদা মোতাবেক সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশ বিষয়গুলোর উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের সফলতাও পেয়েছে। বিশে^র কাছে বিষয়গুলো এখন গ্রহণযোগ্য।
বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরী পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের অধিকার বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো এবং বিশ^মানের। একের পর এক বাংলাদেশে গ্রীণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। আশা করা হচ্ছে, শ্রমিকদের অধিকার, কর্মবান্ধর পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ সন্তোষজন অবস্থানে থাকবে। কর্মশালায় বিশ^বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের সরবরাহ চেইনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণসহ পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করণ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে এবং সুপারিশমালা গ্রহণ করা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ২৭ জুন দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৫৫৫/এমএবি