পিরোজপুরে ৩০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন

159

পিরোজপুর, ২৬ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩০ কিলোমিটার হাজা-মজা খাল পুনঃখননসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন গত অর্থ বছরে খাল পুনঃখনন, সেচ নালা তৈরী, বক্স কালভার্ট নির্মাণ এবং অন্যান্য কাজ সমাপ্ত করেছে।
পিরোজপুর জেলা সদর, মঠবাড়িয়া এবং নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩০ কিলোমিটার হাজা-মজা খাল পুনঃখনন করে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসলের ক্ষেতে চাষীদের সেচ সহায়তা প্রদান করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ২ কিঃমিঃ করে ১৫ টি খাল পুনঃখননের জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে এবং খাল পুনঃখননের শত ভাগ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রতিটি ১ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্যের ৩ টি সেচ নালা তৈরীর জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১৭ লক্ষ টাকা। এ কাজেরও শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। মাঠে পাওয়ার টিলার ও গরু-মহিষ নেয়ার সুবিধার্থে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নাজিরপুর ও মঠবাড়িয়ায় ৬ টি ছোট বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি এর পিরোজপুর জোনের ক্ষুদ্র সেচ সহকারী প্রকৌশলী জগন্নাথ রায় বাসসকে জানান, চলতি অর্থবছরে নাজিরপুর ও ইন্দুরকানীতে ২টি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি প্যানেলের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা।
৩০ কিঃমিঃ খাল পুনঃখনন এবং সেচ নালা তৈরীর ফলে ১৫ শত হেক্টরের ও অধিক জমির ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন যথেষ্ট পরিমান বৃদ্ধি পাবে। এখন প্রতি হেক্টরে গড়ে ৩ মেঃ টন চাল উৎপাদিত হলেও আগামী বোরো, আউশ এবং আমন মৌসুমে গড়ে প্রতি হেক্টরে কম করে হলেও ৫ মেঃ টন চালের উৎপাদন হবে এবং খালের দু দিকের অনেক এক ফসলা জমিতে বছরে দু বার ধান এবং রবি শস্যের চাষ করা সম্ভব হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক এর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে খাল পুনঃ খননের ফলে এ জেলায় প্রায় ৫ হাজার মেঃ টন চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষক ও স্থানীয় মানুষ উপকৃত হবে।