বাসস ক্রীড়া-১০
বিশ্বকাপ-ফুটবল-প্রিভিউ
মরক্কোর বিপক্ষে স্পেনকে ইতিবাচক থাকার অনুরোধ জানালেন ইসকো
ঢাকা, ২৪ জুন ২০১৮ (বাসস) : মরক্কোর বিপক্ষে আগামীকাল সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন। আর এই ম্যাচের আগে দলের ইতিবাচক আদর্শ বজায় রাখার জন্য সতীর্থদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্প্যানিশ তারকা মিডফিল্ডার ইসকো।
পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্রয়ের পরে ইরনারের বিপক্ষে লা রোজারা ১-০ গোলের জয়ে মাধ্যমে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে পর্তুগাল দ্বিতীয় ও ৩ পয়েন্ট নিয়ে ইরান রয়েছে তৃতীয় স্থানে। যে কারণে এই তিন দলের এখনো নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়নি। যদিও ইতোমধ্যেই দুই ম্যাচে পরাজিত হয়ে বিদায় ঘটেছে মরক্কোর।
কালিনিনগ্রাদের কালকের ম্যাচকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের সামনে রিয়াল মাদ্রিদের প্লেমেকার বলেছেন, ‘ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আমাদের নিজেদের খেলার উপর আস্থা রাখতে হবে। বল আমাদের কাছে যতক্ষন সম্ভব রেখে বেশি বেশি পাসের মাধ্যমে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। আর এভাবেই দ্রুত আক্রমণ করতে পারলে আমাদের সামনে সুযোগও বেশী থাকবে।’
২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত হঠাৎ করেই বিশ্ব ফুটবলে স্মরণীয় এক আবির্ভাবের মাধ্যমে স্পেন ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ ও বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। দারুন ছন্দময় ফুটবল উপহার দিয়ে এই শিরোপাগুলোই শুধু তারা স্মরণীয় করে রাখেনি বরং পশিজন-বেজড ফুটবল উপহার দিয়ে সকলের মনে জায়গা করে নেয়। আর তখন থেকেই ‘টিকি-টাকা’ পাসের কারনে স্প্যানিশরা জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
কিংবদন্তী জাভির অবসরের পরে জাতীয় দলের দায়িত্ব পড়ে ইসকো ও তার রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ লুকাস ভাসকুয়েজ, মার্কো আসেনসিওদের ওপর। তাদের সাথে দারুন প্রতিভাবান কিছু তরুণের সমন্বয়ে এবার বিশ্বকাপ দল গঠন করেছিলেন কোচ জুলেন লোপেতেগুই। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর প্রাক্কালে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে চুক্তির ঘোষণা দেয়ায় জাতীয় দল থেকে বহিষ্কৃত হন এই অভিজ্ঞ কোচ। তারপরেও সবকিছুকে পিছনে ফেলে তারকাসমৃদ্ধ স্পেন দলটি এবারও নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিবে এমন আশা সমর্থকরা করতেই পারে।
ইসকো বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে এটাই আমার বড় কোন প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশগ্রহন। আমি এখানে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছি। কিন্তু দলের অভিজ্ঞরা বিষয়টিকে আরো সহজ ভাবে দেখছে।
স্ট্রাইকার দিয়েগো কস্তার পিছনে ইতোমধ্যেই টুর্ণামেন্টে সমর্থকদের আশা পূরণ করেছেন ইসকো। কিন্তু এখনো যে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তা ইতোমধ্যেই দলটি বুঝে গিয়েছে। গ্রুপ-বি’র শীর্ষ দল হিসেবে নক আউট পর্বে যেতে হলে কাল তাদের বড় ব্যবধানে মরক্কোকে হারাতে হবে। কারন পর্তুগালের সাথে তাদের গোল ব্যবধানও একেবারে সমান।
বিশ্বকাপ শুরুর দুইদিন আগে লোপেতেগুয়ের স্থলাভিষিক্ত কোচ ফার্নান্দো হিয়েরো বলেছেন তার দল মরক্কোকে মোটেই খাটো করে দেখছে না। তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্বকাপ, এখানে কোন দলই ছোট নয়, কোন ম্যাচই সহজ নয়। আমাদের প্রতিদিনই উন্নতি করতে হবে। আশা করছি জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারবো। কিন্তু এখানে কোন কিছুই সহজ নয়। কিছু কিছু গ্রুপে কয়েকটি দল ইতোমধ্যেই শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে। কিন্তু আমাদের গ্রুপ বেশ কঠিন। মরক্কোর বিপক্ষে আমাদের জয় ভিন্ন কোন উপায় নেই।’
এদিকে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই বিদায় ঘটেছে উত্তর আফ্রিকার দল মরক্কোর। কিন্তু হার্ভে রেনার্ডের শিষ্যরা শেষ ম্যাচে ভাল কিছু করতে এখনো আশাবাদী। ইরানের বিপক্ষে তারা দুঃখজনকভাবে ৯৫ মিনিটে আত্মঘাতি গোলে পরাজিত হয়। পর্তুগালের বিপক্ষে তারা বেশ আগ্রাসী ম্যাচ খেলে মাত্র ১-০ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল।
বাসস/এএসজি/নীহা/১৪২০/স্বব
Home 0সকল সংবাদ বাসস ক্রীড়া বাসস ক্রীড়া-১০ : মরক্কোর বিপক্ষে স্পেনকে ইতিবাচক থাকার অনুরোধ জানালেন ইসকো