নড়াইলে শশার দাম ভালো পেয়ে খুশি চাষিরা

211

নড়াইল, ২৪ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় নড়াইলে দিন দিন শশার আবাদ বাড়ছে। অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশী হওয়ায় শশা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এখানকার কৃষকেরা। শশা চাষ করে এখানকার কৃষকরা পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা। শসার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
জানাগেছে, নড়াইল সদর উপজেলার আগদিয়া, বিছালী, মুসুড়ি, মুলিয়া, শেখহাটিসহ অন্তত ১০ গ্রামের কৃষকেরা শশা চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা । জমি-মাচা তৈরিকরাসহ এক একর জমিতে খরচ হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা। সেখানে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার শসা উৎপাদন হয়। প্রতি শতক জমিতে খরচ হয় ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা আর উৎপাদন হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার শশা। বীজ রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা শুরু হয়ে যায়। শসার আবাদ ভালো হওয়ায় গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে শসার কেনা বেচার মৌসুমী আড়ত। কৃষকেরা ক্ষেত থেকে তুলে এনে আড়তে বিক্রি করছেন। বেকার যুবক-মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে এখানকার শসা। স্থানীয় বাজারের ক্রেতারা টাটকা-তাজা শশা কিনতে পেরে খুশি।
আকদিয়া গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ধান বা পাট চাষে লাভ হয়না লোকসান হয়। পাট বা ধানের তুলনায় শসা চাষে ৩-৪ গুণ বেশী লাভ হয় বলে আমরা শশা চাষ করি। তিনি আরও বলেন, পাইকারি প্রতিকেজি শশা বর্তমানে ৩০-৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বিছালী গ্রামের তপন বিশ^াস বলেন, শশা চাষে প্রতি শতক জমিতে খরচ হয় ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা আর খরচ বাদে ২হাজার ৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা লাভ হয় ।
ক্ষেতে কাজ করা সঞ্চিতা বিশ^াস বলেন, বাড়ির কাজের পাশপাশি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তু শশা ক্ষেতে কাজ করে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ টাকা আয় করে থাকি। এতে আমাদের পরিবারের আর্থিক সমস্যা অনেকটা মিটে যাচ্ছে।
যশোর থেকে আসা পাইকারি শশা ক্রেতা আব্দুল্লাহ বলেন, এখানকার শশা কিনে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে পাইকারি প্রতিমণ শশা ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা করে কিনে নিয়ে আমরা ১৭০০ থেকে ১৮০০ পর্যন্তু বিক্রি করি এতে আমাদের ভালো লাভ হয়।
শহরের রুপগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী বিন্দু বিশ^াস বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নড়াইল সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে শশার আবাদ হয়েছে। অনান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক শশা চাষে আগ্রহী হচ্ছে এখান কার কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/১০-৩২/নূসী