বাজিস-১১ : চট্টগ্রামে ২০৩০ সালের মধ্যে মাইনিং পোর্ট ও ফিস হারবার নির্মাণ করা হবে : বন্দর চেয়ারম্যান

519

বাজিস-১১
চট্টগ্রাম বন্দর- মতবিনিময় সভা
চট্টগ্রামে ২০৩০ সালের মধ্যে মাইনিং পোর্ট ও ফিস হারবার নির্মাণ করা হবে : বন্দর চেয়ারম্যান
চট্টগ্রাম, ২২ আগস্ট ২০১৯ (বাসস) : ‘ব্লু ইকোনমি’ কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ চট্টগ্রামে সমুদ্রবন্দর এলাকা বা উপকূলের সুবিধামত স্থানে মাইনিং পোর্ট ও ফিস হারবার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ।
আজ বুধবার দুপুরে বন্দর ভবনে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কার্যকরী কমিটির সাথে এক মতবিনিময়সভায় বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ভবিষ্যতের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে সক্ষম করে তোলার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সমুদ্র বিজয়ের পর আমাদের সামনে এসেছে ব্লু ইকোনমি। বাংলাদেশ নতুন প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা নিজেদের আয়ত্তে পেয়েছে। প্রাথমিক সমীক্ষায় জানা গেছে বিশাল সমুদ্র এলাকায় সিলিকনসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে। রয়েছে টোনা ফিসসহ নানাজাতের মূল্যবান মৎস্যসম্পদÑ যা আহরণের পর ফিস হারবারে প্রসেসিং ও প্যাকেটজাত করে সেখান থেকেই বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রের অমিত খনিজ সম্পদ প্রক্রিয়াজাত করার জন্য মাইনিং পোর্ট ও মৎস্য সম্পদ প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ফিস হারবার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা হিসেবে কন্সালটেন্সি শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় কিছু জমিও ইতোমধ্যে কেনা হয়েছে। মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ আরও কিছুস্থানে জমি ক্রয়ের কথাবার্তা চলছে।’
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, “২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ‘ক্রিটিক্যাল টাইম’। গত এক বছরে আমরা ৬ ধাপ ডিঙিয়ে বিশ্বের সেরা একশ’ বন্দরের মধ্যে ৬৪ নম্বরে উন্নীত হয়েছি। ২০২২ সালের মধ্যে ৫০তম অবস্থান অতিক্রম করার টার্গেট রয়েছে।”
বে-টার্মিনাল নির্মাণের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যত কর্মকান্ডের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করার কাজ হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে বন্দরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ বলেন, ‘আগামী ৩০-৪০ বছরে বন্দরকে ঘিরে কী কী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে তার প্রাথমিক পরিকল্পনা সম্বলিত অ্যালবাম তৈরি করা হচ্ছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রাধিকার মূলক পদক্ষেপ হিসেবে জমি কেনার কাজটি করতে চাই। কারণ দেশে মানুষ বাড়ছে, জমিতো বাড়ছে না। এছাড়া জমি ছাড়া কোন প্রকল্প সম্ভবও নয়।’
এক প্রশ্নের উত্তরে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ট্রানজিটের জন্য প্রস্তুত। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে আমরা তাদের সাথে কাজ করবো। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতীয় উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।’
সভায় বন্দর সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, উপসংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম, বন্দর কতৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুকসহ বন্দরের প্রতিটি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেনÑ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, সহ-সভাপতি মঞ্জুুরুল কাদের মঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আইয়ুব আলী, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়–য়া দেবু, পাঠাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, কার্যকরী সদস্য কাজী আবুল মনসুর এবং স ম ইব্রাহিম।
বাসস/ডিবি/এসকেবি/২১৩০/-এমকে