বাজিস-১০ : চট্টগ্রামে জমি আত্মসাতের অভিযোগে রেজিস্ট্রারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

254

বাজিস-১০
চট্টগ্রাম- দুদক-মামলা
চট্টগ্রামে জমি আত্মসাতের অভিযোগে রেজিস্ট্রারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রাম, ২০ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস): প্রায় ১৩০ কোটি টাকার জমি আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক সাবরেজিস্ট্রার (বর্তমানে নীলফামারীর জেলা রেজিস্ট্রার) মো. লুৎফর রহমান, আইনজীবী তৃষ্ণা ভট্টাচার্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন।
তিনি জানান, গত সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ এবং চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ন কবীর বাদী হয়ে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখল ও আয়ের উৎস গোপন করায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।
লুৎফুল কবির চন্দন জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি করে হাজী গনি সওদাগরের ওয়াকফ স্টেটের মালিকানাধীন ১৩০ কোটি টাকার বেশী মূল্যের ১ হাজার ১৮৪ শতক জমি আত্মসাতের জন্য ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট ভূয়া হেবা ঘোষণা দলিল সম্পাদন, সৃজন ও রেজিস্ট্রি করেন।
তিনি বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সদরের সাবেক সাবরেজিস্ট্রার (বর্তমানে নীলফামারীর জেলা রেজিস্ট্রার) মো. লুৎফুর রহমান, চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৃষ্ণা ভট্টাচার্য, দলিল গ্রহীতা-আগ্রাবাদ মুহুরী পাড়ার মৃত হাজি জেবল হোসেনের ছেলে মো. জাকির হোসেন ও দলিলের সাক্ষী- পাঁচলাইশের আল মাদানী রোডের মৃত শামসুল আলমের ছেলে মো. আতাউল করিম উসমানী সোহেল।
এছাড়া রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. আবদুল গফুরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আরেকটি মামলা করা হয়।
বাসস/জিই/এসকেবি/২০১০/এমকে