বাসস দেশ-৩৪ : পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

525

বাসস দেশ-৩৪
জাতীয় মোক-দিবস -আলোচনা
পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
আজ ঢাকায় ইস্কাটন রোডে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন, একটি দেশের মানুষের মুক্তির পূর্ব শর্ত হল স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জন করে যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু পরাজয়ের গ্লানি চিরস্থায়ী। পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।
প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘১২ আগস্ট ১৯৭৫ সাল। সকালে আমি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যাই শেখ কামাল ভাইয়ের সাথে দেখা করতে। ৩২ নম্বরের বাসার কাছেই যেতে দেখি বঙ্গবন্ধু গাড়িতে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা করছেন। আমি বাসার ভিতরে প্রবেশ করে জানতে পারলাম কামাল ভাই আবহানী মাঠে প্রাকটিস করতে গেছে। আমি বাড়ির বাইরে এসে দেখি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যাওয়া গাড়িটা গেটের সামনে। গাড়ি থেকে চিফ সিকিউরিটি অফিসার নেমে আমাকে বললেন, ইন্দিরা দ্রুত এদিকে এস। আমি গাড়ির কাছে যেতেই বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন, তুমি কি আমার সাথে দেখা করতে এসেছ? একজন রাষ্ট্রপতি, একজন প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা রাস্তা থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে আমার মত একজন সাধারণ কর্মীর সাথে দেখা করার জন্য ফিরে এসেছেন। এটা থেকেই বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু কতটা কর্মীবান্ধব ছিলেন। এজন্যই তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা।’
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা তার বক্তৃতায় ১৫ আগস্টের হত্যাকারী ও পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা ও এই নির্মম হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন করেন। জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই নারীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। জাতির পিতা শিশুদের খুব ভালবাসতেন। সময় পেলেই শিশুদের সাথে খেলাধুলায় মেতে উঠতেন। শিশুদের জন্য বাধতামূলক ও অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুন নেসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার।
প্রধান অতিথি জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের আত্বার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাসস/সবি/এমএআর/২১১৫/কেকে