বয়োঃজ্যেষ্ঠ ও গৃহহীনদের মধ্যে খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে লন্ডন মিশনে জাতীয় শোক দিবস পালন

304

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : যুক্তরাজ্যে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ও একটি দিবাযত্ম কেন্দ্রে গৃহহীন ও বয়স্কদের মধ্যে বিনামূল্যে খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম পূর্ব লন্ডনে ‘সোনালী গার্ডেন সেন্টার ও ডে-কেয়ার সেন্টারে‘ গৃহহীন ও বয়স্কদের মধ্যে দুপুরের খাবার পরিবেশন করেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সকালে হাই কমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত করার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশেষ কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ব্র্যাডি আর্টস এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রথমবারের মতো পূর্ব লন্ডনে জাতীয় শোক দিবসে এই ধরনের অনুষ্ঠান করলো।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন ১৯৭১’র পরাজিত শক্তি ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে আমাদের স্বাধীনতার অর্জন ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমাদের আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারই করেননি, গণতন্ত্রকেও একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন।
হাইকমিশনার টাওয়ার হ্যামলেটস-এ বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ে সফরের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারি বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটিকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ চর্চার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস-এর মেয়র জন বিগস। অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির নেতা সুলতান মাহমুদ শরীফ, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক হারুন হাবিব, সংসদ সদস্য শাজাহান কামাল ও মুহিবুর রহমান মানিক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সাইদা মুনা তাসমীন মেয়র জন বিগস, হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও অন্য অতিথিদের নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার দুই শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
সকালে হাই কমিশনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী‘র বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
এরপর পূর্ব লন্ডনে স্থাপিত জাতির পিতার আবক্ষ ভাস্কর্যে হাইকমিশনার পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাই কমিশন একটি স্মরণিকা প্রকাশ ও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামণ্য চিত্র প্রদর্শন করে। এছাড়া চারুশিল্পী এস এম আসাদের আঁকা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির এক প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।