১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে : ভূমিমন্ত্রী

190

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি রোববার ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ভূমি সচিব মো. মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিস মাহমুদ, আতাউর রহমান, সিরাজ উদ্দিন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হযরত আলী।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল, যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তাঁর সারাটা জীবন আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে উৎসর্গ করে গেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার সময় এ দেশ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত ছিল। এমনকি ওই সময় বিদেশী অনেকেই বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলত এ দেশ টিকবে না। তাদের সেই ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সেই দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছিল। জাতি হিসেবে আমাদের উপর এ ঘটনা একটি কলঙ্ক, যা কখনো মোচন হবে না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ১৯৭৫ সালে তা থমকে দাঁড়ায়।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন জীবন পার করে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ১৯৯৬ সালে দেশকে নেতৃত্বের দেয়ার সুযোগ পান। তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ বছর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল হতে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। এ তিন মেয়াদে বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। সকল পর্যায়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ করে সফলতা অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক অর্থনীতিতে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্থিতিশীল সরকার থাকার ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ শাহাদত বরণকারী সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।