বাসস দেশ-১০ : সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য নেই সতর্ক সংকেত

107

বাসস দেশ-১০
বন্যা-সমুদ্র বন্দর-সংকেত
সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্য নেই সতর্ক সংকেত
ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্ক সংকেত নেই।
আজ এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি:মি: বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের রাত ১১টা ১৫ মিনিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং গঙ্গা-পদ্মা স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, তৎসলগ্ন ভারতের মেঘালয় এবং গাঙ্গীয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছেম যার ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, মনু, খোয়াই, তিস্তা, ধরলা. দুধকুমার ও জাদুকাটা নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বিগত ২৪ ঘণ্টায় পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯টি স্থানে এবং সমতল হ্রাস পেয়েছে ৫০টি স্থানে। কোনো স্থানের বিপদসীমার কোনো তথ্য নেই।
সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বন্যাদুর্গত বিভিন্ন জেলায় ২৮ হাজার ৬৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার কার্টুন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা,শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
বাসস/তবি/এসএস/১৬৪৫/জেহক