বাসস ক্রীড়া-১০ : জাপান-সেনেগাল উভয় দলেরই লক্ষ্য শেষ ১৬

136

বাসস ক্রীড়া-১০
ফুটবল-বিশ্বকাপ-জাপান-সেনেগাল-প্রিভিউ
জাপান-সেনেগাল উভয় দলেরই লক্ষ্য শেষ ১৬
একাটেরিনবুর্গ (রাশিয়া), ২৩ জুন ২০১৮ (বাসস): নক আউট পর্বে খেলার লক্ষ্য নিয়েই এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে কাল পরস্পরের মোকাবেলা করবে জাপান ও সেনেগাল। উভয় দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ী হয়ে অর্জন করে নিয়েছে তিনটি করে মুল্যবান পয়েন্ট। যে কারণে তাদের আত্মবিশ্বাসের পারদও বেশ উপরে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে জাপান ২-১ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়াকে। আর সেনেগাল একই ব্যবধানে পরাজিত করেছে পোল্যান্ডকে। যে কারণে আগামীকাল একাটেরিনবার্গ এ্যারেনায় যে দল জয় পাবে তারাই দ্বিতীয় পর্বের নক আউটে খেলার টিকিট পেয়ে যাবে।
এই দল দু’টি মাঠের লড়াইয়ে যে সবাইকে মুগ্ধ করেছে তা নয়। তাদের সমর্থকরাও বিরল এক কৃর্তি গড়ে আকৃষ্ট করেছে বিশ্ববাসীকে। মস্কোর সারানস্কে জাপানের জয়ের পর সেখানে উপস্থিত জাপানি সমর্থকরা স্টেডিয়ামটির আবর্জনা পরিস্কারের কাজে হাত লাগিয়ে সহজ করে দিয়েছে পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের কাজকে।
প্রথম ম্যাচে অবশ্য উভয় দলই ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছে। জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় কলম্বিয়া। অপরদিকে পোল্যান্ডের বিপক্ষে সেনেগালের জয়ে সহায়তা করেছে থিয়াগো চিওনেকের আত্মঘাতি গোল। সেনেগালের পক্ষে অবশ্য জয় নির্ধারনি গোলটি করেছেন এম’বায়ে নিয়াং। পোল্যোন্ডের রক্ষণভাগে গ্রেজর্জ ক্রাইচোইয়াক ও গোল রক্ষক ওইচেচ সেকজেসনির মধ্যে বল আদান প্রদানের সময় সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোল করেন তিনি।
ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করা এই সেনেগাল তারকা ব্লু সামুরাইদের বিপক্ষে পরের ম্যাচের প্রতি মনোযোগী হয়ে পড়েছেন। কারণ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত অংশগ্রহণকারী দলটির এখন প্রধান লক্ষ্য শেষ ষোল নিশ্চিত করা।
নিয়াং বলেন, ‘দলবদ্ধভাবে কাজ করার সুফল আমি পেয়েছি। আমরা অবশ্যই এটি অব্যাহত রাখব। লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা অবশ্যই কাজ করে যাব। আমাদের দলটি বেশ ভাল। জাপান দলটিও বেশ মানসম্পন্ন। তবে তাদের সম্পর্কে ধারণা নেবার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সময় পেয়েছি। এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এদিকে প্রথম ম্যাচে তৃতীয় মিনিটের মাথায় সানচেজ বিদায় নেয়ায় ১০ জনের দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছে জাপান। তবে এবার সেগোলের প্রতি আক্রমনের দক্ষতা নিয়ে কিছুটা ভয়েই আছে তারা। ডিফেন্ডার ইউতো নাগাতোমো অন্তত তাই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের (সেনেগাল) গতি এবং শারিরিক দক্ষতা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়। তাদের বড় বৈশিষ্ঠ্য হল শৃংখলা। দলগতভাবেই তারা আক্রমণ রচনা করে।
এমনিতে ব্যক্তিগত মেধার কারণে আফ্রিকান দলগুলোর একটি আলাদা নামডাক রয়েছে। তবে সাংগঠনিকভাবে যখন খেলে, তখন কিছুটা দুর্বলতা ফুটে ওঠে। কিন্তু সেনেগালের ক্ষেত্রে তেমন দূর্বলতা কম দেখা গেছে। তারা রক্ষণভাগের বিষয়ে যেমন বেশ মনোযোগী তেমনি প্রতি আক্রমণেও দুর্দান্ত।’
বিশ্বকাপের অতীত রেকর্ডে দেখা যায় এশিয়ার কোন দল প্রথম দুই ম্যাচে জয়লাভ করেনি। ২০০২ সালের পর জাপান বিশ্বকাপের কোন ম্যাচে টানা জয় পায়নি। অপরদিকে সেনেগাল তাদের সর্বশেষ নয় ম্যাচে অংশ নিয়ে গোল হজম করেছে মাত্র ৫টি। যার মধ্যে চারটি গোল খেয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এসে।
বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত দু’টি মাত্র আফ্রিকান দল তাদের প্রথম দুই ম্যাচে জয়লাভ করেছে। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন এবং ১৯৯৮ সালে নাইজেরিয়া এই সাফল্য অর্জন করে।
সেনেগাল:
গোলরক্ষক: আবদুলায়ে দিয়ালো (১), খাদিম এনদিয়ায়ে (১৬), আলফ্রেড গোমিস (২৩)।
রক্ষণ ভাগ: সালিউ চিস (২), লামিন গাসামা (২১), কালিদু কলিবালি (৩), কারা (৪), ইউসুফ সাবালি (১২), সালিফ সানে (৬), মুসা ওয়াগু (২২), গানা (৫)।
মধ্য মাঠ: চেখু কুয়াতে (৮), পাপে আলিউন এনদিয়ায়ে (১১), আলফ্রেড এনদিয়ায়ে (১৩), চেইখ এনদোয়ে (১৭), ইসমাইলা সার (১৮)।
আক্রমণ ভাগ: মামে বিরাম দিউফ (৯), ব্লেড কেইটা (২০), মুসা কনেট (১৪), সাদিও মানে (১০), এম’বায়ে নিয়াং (১৯), দিয়াফ্রা সাখো (১৫), মুসা সো (৭)।
কোচ : চিজে আলিউ
কোচ: আলিউ চিজে
জাপান
গোল রক্ষক: ইজি কাওয়াশিমা (১), মাসাকি হিগাশিগুচি (১২), কোসুক নাকামুরা (২৩)।
রক্ষণ ভাগ: ওয়াতারু এন্ডো (৬), তোমোয়াকি মাকিনো (২০), ইউতো নাগাতোমো (৫), গোটোকু সাকাই(২১), হিরোকি সাকাই(১৯), জেন সোজি(৩), নাওমিচি উয়েদা(২), মায়া ইয়োশিদা(২২)।
মধ্য মাঠ: মাকোতো হাসেবে (১৭), কেইসুকে হোন্ডা(৪), তাকাশি ইনুই (১৪), শিনজি কাগাওয়া (১০), হোতারু ইয়ামাগুচি (১৬), জেনকি হারাগুচি (৮), তাকাশি উসামি (১১), গাকু শিবাসাকি (৭), রিওতা ওশিমা (১৮)।
আক্রমণ ভাগ: শিনজি ওকাজাকি(৯), ইউয়ায়া ওসাকো(১৫), ইওশিনোরি মুতো(১৩)।
কোচ: আকিরা নিশিনো
বাসস/ওয়েবসাইট/এমএইচসি/১৭২০/মোজা/স্বব