বাসস দেশ-১১ : বরেণ্য সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

131

বাসস দেশ-১১
গোলাম সারওয়ার-মৃত্যুবার্ষিকী
বরেণ্য সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : বরেণ্য সাংবাদিক ও সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার।
গত বছরের এ দিনে ৭৫ বছর বয়সে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি প্রয়াত হন। সাংবাদিকতার বাতিঘরখ্যাত গোলাম সারওয়ারের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার ও সমকালসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এদিন ঢাকায় তার উত্তরার বাসভবনে এবং তার জন্মস্থান বরিশালের বানারীপাড়ায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির পর দৈনিক সমকাল ও গোলাম সারওয়ার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই পথিকৃৎ সম্পাদকের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সোচ্চার গোলাম সারওয়ার ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব। ষাটের দশকে সাংবাদিকতার শুরুথেকে একটানা পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি এ পেশায় মেধা, যুক্তি বোধ, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চায় নিজেকে এবং বাংলাদেশের সংবাদপত্রকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
গোলাম সারওয়ারের জš§ ১৯৪৩ সালের ১ এপ্রিল বরিশালের বানারীপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর বিশ^বিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে তার সাংবাদিকতা পেশার সূচনা। একই বছর দৈনিক সংবাদের সহ-সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন তিনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত সংবাদে চাকরিরত ছিলেন গোলাম সারওয়ার। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন নিজ এলাকা বানারীপাড়ায়। মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েক মাস বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইন¯িদ্বটিউশনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে প্রধান সহ-সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
দৈনিক ইত্তেফাকে দীর্ঘ ২৭ বছর বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সাপ্তাহিক পূর্বানীর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। তিনি দেশের অন্যতম দুটি সেরা দৈনিক ‘যুগান্তর’ ও ‘সমকাল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। একই সময়ে বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্যেও ছিল গোলাম সারওয়ারের অবাধ বিচরণ।‘রঙিন বেলুন’ নামে শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত ছড়ার বইটি তার ছড়া সৃষ্টির উজ্জ্বল নিদর্শন। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে ‘সম্পাদকের জবানবন্দি’, ‘অমিয় গরল’, ‘আমার যত কথা’ এবং ‘স্বপ্ন বেঁচে থাক’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিকতায় জীবনব্যাপী ভূমিকার জন্যে গোলাম সারওয়ার ২০১৪ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০১৭ সালে আতাউস সামাদ স্মারক ট্রাস্ট আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এ বছর বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল তাঁকে মরণোত্তর বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদকে ভূষিত করে।
বাসস/সবি/কেসি/১৭২৫/-কেএমকে