জয়পুরহাটে ঈদ উপলক্ষে কামারশালায় ব্যস্ততা বেড়েছে

320

জয়পুরহাট, ৯ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : ঈদ-উল-আজহায় কোরবানীর পশু কেনার সঙ্গে চলে ছুরি, চাকু দা, বটি, হাসুয়া কেনা। তাই শেষ সময়ে দা, বটি, ছুরি, চাকু তৈরির ধুম পড়েছে জয়পুরহাটের কামারশালা গুলোতে। দিনরাত কাজ করছেন শ্রমিকরা।
কোরবানির পশু জবাই ও মাংস টুকরা করার জন্য দা, বটি, ছুরি, চাকু প্রভৃতি প্রত্যেক পরিবারেই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বছরের অন্যান্য সময় দা-বটির ব্যতিত বাকিগুলোর তেমন ব্যবহার না থাকায় অধিকাংশ মরিচা ধরে পড়ে থাকে। কোরবানির সময় এলে অনেকেই পুরানো গুলো শান দিয়ে প্রস্তুত করেন। ফলে কাজের ধুম পড়ে যায় কামারদের দোকানে।
কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোরবানির ঈদের সময় দা, বটি, চাকু, ছুরি, হাসুয়া তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়ে গেলেও সারা বছর তেমন কাজ না থাকার পাশাপাশি, সময়ের সাথে সাথে এ শিল্পের প্রধান উপকরণ লোহা, ইস্পাত ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পেশা ছেড়ে অনেকেই অন্যপেশায় চলে গেছেন।
জেলা শহরের নতুনহাট সড়কের কামার প্রদীপ কর্মকার জানান, কোরবানির ঈদের সময় আমাদের কাজ বেড়ে গেলেও বছরের অন্য সময় গুলোতে কাজ খুবই কম থাকে।
তিনি জানান, শান দেয়ার জন্য পড়ছে প্রকার ভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। দা, বটি, ছুড়ি , চাকু ও হাসুয়া প্রকার ভেদে ১৫০ থেকে ৪৫০ পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়।
কামার সন্তোষ মহন্ত জানান, লোহার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব সীমিত লাভে এ গুলো বিক্রি করতে হয়। ফলে শুধু কোরবানির ঈদের বেচা-কেনা করে এ ব্যবসা টিকে রাখা কঠিন।
এদিকে, কুরবানির আগে বাজারে মাংস কাটার কাঠের গুড়িও বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়।