ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর প্রায় ৭৫ শতাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন

328

ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা (৭ আগস্টের তুলনায় ৮ তারিখে) প্রায় ৫ ভাগ কমেছে। একইভাবে একই সময়কালে ছাড়প্রাপ্ত রোগীর হারও বেড়েছে প্রায় ৩৬ ভাগ। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর প্রায় ৭৫ শতাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন
রোগ নিয়ন্ত্রন শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গতকাল ৮ আগস্ট পর্যন্ত সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৬৬৬ জন। ছাড়প্রাপ্ত পাওয়া রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৭২ জন।
বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ৮ হাজার ৭৬৫ জন। এরমধ্যে ঢাকার ৪০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ১৪০ জন। অন্যান্য বিভাগে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬২৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় (৭-৮ আগস্ট) নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩২৬ জনএবং এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে অক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ জন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ।
অন্যদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সকাল ১১টায় বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সানিয়া তহমিনা, ডাঃ সমীর কান্তি সরকার, পরিচালক, এমআইএস, মোঃ আব্দুল আজিজ, পরিচালক স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, ডাঃ এম, এম, আক্তারুজ্জামান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডেঙ্গু) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২ এর এক্সটেনশন হিসেবে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রয়োজনে রোগী ভর্তি করা শুরু করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকেও ডেঙ্গু রোগী ভর্তির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এছাড়াও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ট্রমাটোলজি এন্ড অরথোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটোর) ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভার্টিক্যাল এক্সটেনসনে অতিরিক্ত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আয়োজিত পশুর হাটে ডেঙ্গু প্রতিরোধে লার্ভা ধ্বংস ও এডিস মশা নিধন এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মেয়রদের অনুরোধ জানানো হয় ।
দীর্ঘ এই ছুটির মধ্যেও মধ্যেও সকল পর্যায়ের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও কার্যক্রম তদারকি অব্যাহত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ।