বাসস দেশ-৩৬ : কাল জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস

171

বাসস দেশ-৩৬
জ্বালানি- নিরাপত্তা দিবস
কাল জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : আগামীকাল জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৯। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার প্রেক্ষাপটে জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে সাশ্রয়ী ও সচেতন করে তুলতে এ দিবস পালনের উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির যোগান একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। সরকার দেশজ প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। দেশের কৃষি, শিল্প, সেবাখাতসহ দৈনন্দিন জীবনে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এর প্রেক্ষিতে সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি নীতি অনুসরণ করে বর্তমান সরকার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নতুন নতুন জ্বালানির উৎস উদ্ভাবন, জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালের জানুয়ারিতে গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। সরকারের বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও সফল বাস্তবায়নের ফলে দেশীয় উৎপাদিত গ্যাস ও আমদানিকৃত এলএনজিসহ বর্তমানে নূন্যতম গ্যাস সরবরাহ দৈনিক ৩ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সার, শিল্প, গৃহস্থালি, সিএনজি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বর্ধিত হারে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অব্যাহতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন ‘দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েল এর নিকট থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সেই থেকে তুলনামূলক সাশ্রয়ী জ্বালানির উৎপাদক হিসেবে এ গ্যাসক্ষেত্রগুলো অদ্যাবধি দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে এবং জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলছে।’
বাসস/কেসি/১৯২৫/কেএআর