সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরো কার্যকর করতে ঢাকা-নয়াদিল্লীর ঐকমত্য

142

নয়া দিল্লী, ৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরো কার্যকর করতে সহযোগিতা জোরদারে একমত হয়েছে।
গতকাল এখানে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৭ম রাউন্ড বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এতে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিকে রেড্ডি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয় বলে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে একথা জানান হয়।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ‘ভারতসহ অন্য কোন দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য কেউ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে পারবে না’- বাংলাদেশের এই পলিসির ভূয়সী প্রশংসা করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তিনি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ভারতের সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
দু’দেশের মধ্যকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৬ষ্ঠ বৈঠক ঢাকায় গতবছর জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অপরাধমুক্ত সীমান্ত, পুলিশের প্রশিক্ষণ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়।